জয়পুর: গুজরাতে ২০১৭-র বিধানসভা ভোটের আগে জাতপাতের অঙ্ক মাথায় রেখেই রামনাথ কোবিন্দকে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছিল বলে দাবি করলেন অশোক গেহলত। কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন ২০১৭-র জুলাইয়ে আর গুজরাতে বিধানসভা ভোট হয় সে বছরের ডিসেম্বর। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একটি সংবাদ প্রতিবেদনের উল্লেখ করেন, বলেন, তিনি সেটি পড়েছেন, যাতে বলা হয়েছে, কোবিন্দের জাত বিচার করেই জাতপাতের সমীকরণে ভারসাম্য রাখতে ২০১৭-র গুজরাত বিধানসভা ভোটের আগে তাঁকে রাষ্ট্রপতি করা হয়। লোকে বলছে, ২০১৭-র গুজরাত বিধানসভা ভোট হিসাবে রেখেই কোবিন্দকে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছে। ওনার (প্রধানমন্ত্রী মোদি) ভয় ছিল, গুজরাতে সরকার গড়তে পারবেন না। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহই হয়তো তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, তারপরই কোবিন্দকে রাষ্ট্রপতি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী রাষ্ট্রপতি পদে যোগ্য ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে দল উপেক্ষা করে বলে দাবি করেন গেহলত। বলেন, দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল, উনি রাষ্ট্রপতি হবেন, প্রাপ্য সম্মান পাবেন। কিন্তু উপযুক্ত দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও সেই মর্যাদা থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হয়। এটা যদিও বিজেপির ঘরোয়া ব্যাপার, একটা প্রতিবেদনে পড়েছি বলেই কথাটা বললাম। গেহলতের মন্তব্যে তীব্র আপত্তি করেছে ক্ষুব্ধ বিজেপি। তারা দাবি করেছে, ওনাকে ক্ষমা চাইতে হবে। নির্বাচন কমিশনকেও গেহলতের বক্তব্য খতিয়ে দেখে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে কেন্দ্রের শাসক দল। বিজেপি মুখপাত্র জিভিএল নরসিমা রাও সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত নিজে একটি সংবিধান স্বীকৃত পদে বহাল থেকেও রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে জাতপাতগন্ধী মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি হলেন সংবিধানের রক্ষাকর্তা। গেহলতের মন্তব্যে কংগ্রেসের দলিত-বিরোধী মানসিকতার প্রতিফলন রয়েছে বলেও জানান তিনি। বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বলছি, রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে গেহলতের বক্তব্য স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে খতিয়ে দেখুক।