জয়পুর:রাজস্থানের ২১ জেলায় পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচনের জন্য ভোটের ফলাফলে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস। ভোট গণনার ফলাফল আসছে। জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচনের ঘোষিত ফল অনুযায়ী মোট ১৪ জেলায় বোর্ড গঠনের পরিস্থিতিতে চলে এসেছে বিজেপি। অন্যদিকে, মাত্র পাঁচটি জেলায় কংগ্রেস বোর্ড গঠনের পরিস্থিতিতে পৌঁছতে পেরেছে।
জেলা পরিষদে মোট ৬৩৬ আসনের জন্য ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল। এরমধ্যে বিজেপি ৩২৪ ও কংগ্রেস ২৪৬ আসনে জিতেছে। পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনের ফলাফল থেকে স্পষ্ট যে, গ্রামীন এলাকায় হাত প্রতীকের থেকে পাল্লা ভারি পদ্মেরই। অর্থাৎ, রাজস্থানের গ্রামীণ এলাকাগুলিতে সাফল্য লাভ করেছে গৈরিক দলই। পঞ্চায়েত সমিতির ৪৩৭১ আসনের মধ্যে বিজেপি ১৮৩৬ও কংগ্রেস ১৭১৮ আসনে জয়ী হয়েছে।
দলের শীর্ষ নেতারাই ডুবিয়েছেন কংগ্রেসকে। দেখা যাচ্ছে, অশোক গেহলৌত সরকারের মন্ত্রী রঘু শর্মা, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিং ডোটাসারা, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পায়লট, ক্রীড়ামন্ত্রী অশোক চান্দনা ও গেহলৌতের ঘনিষ্ঠ উপমুখ্য সচেতক মহেন্দ্র চৌধুরী তাঁদের নিজ নিজ কেন্দ্রে দলকে জেতাতে পারেননি। তাঁদের নির্বাচনী কেন্দ্রে রমরমা গেরুয়া ঝাণ্ডারই।
সাদুলপুরের কংগ্রেস বিধায়ক কৃষ্ণ পুনিয়ার দুই আত্মীয় পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন।
এরইমধ্যে ধাক্কা খেয়েছেন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়াল। তিনি বিকানেরের সাংসদ হলেও তাঁর ছেলে বিকানের থেকে জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন। সরদাশগরে কংগ্রেস বিধায়ক ভানওয়ার লাল শর্মার স্ত্রী মনোহরী দেবীকে তাঁর দেওর শ্যাম লাল পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে হারিয়ে দিয়েছেন।
রাজস্থানে আগামী বছর বিধানসভার তিন আসনে উপনির্বাচন হবে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে হার কংগ্রেসের কপালে নিঃসন্দেহে চিন্তার ভাঁজ ফেলবে।
জয়সলমীর, বিকানের ও বাড়মেরে কংগ্রেসের বোর্ড গঠন করতে চলেছে। এ জন্য এই জেলাগুলি থেকে যাঁরা মন্ত্রী হয়েছেন, তাঁদের কদর বাড়বে দলে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রী রঘু শর্মা তাঁর এলাকা আজমের, মন্ত্রী উদয় লাল অঞ্জনা চিত্তোর, ক্রীড়ামন্ত্রী অশোক চান্দরা বুঁদি, শিক্ষামন্ত্রী গোবিন্দ সিংহ ডোটাসরা সিকর ও বনমন্ত্রী সুখ রাম বিষ্ণোই জালোরে কংগ্রেস বোর্ড গঠন না হওয়ায় দুর্বল হয়ে পড়েছেন। বারমেরে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলে কংগ্রেস ও বিজেপি সম সংখ্যক আসন পেয়েছে। এজন্য, বারমেরের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৈলাশ চৌধুরীও দুর্বল হয়েছেন।