জানা গেছে, সচিনের সঙ্গে বৈঠকের পর রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেন।
রাজস্থানের আগামী বিধানসভার অধিবেশনের আগে এই তত্পরতা বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী ১৪ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন। এই অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলৌত তাঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের চেষ্টা করবেন। তার আগে কংগ্রেস শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্বের অবসানের ইঙ্গিত মিলল।
ঠিক এক মাস আগে সচিন ও তাঁর অনুগামী ১৮ বিধায়ক গেহলৌতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে জয়পুর ছেড়েছিলেন। পরে সচিনকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর অনুগামী বিধায়কদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সচিন ও বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা ও সমস্যার সমাধানের চেষ্টা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা বলেছেন, আমরা প্রথম থেকেই বলছি, আজও বলছি যে, পায়লট ও অন্যান্য বিক্ষুব্ধ বিধায়করা সরকারকে অস্থির করার চেষ্টার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেন, তাহলে তাঁদের দলে ফেরানোর বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে।
গেহলৌতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেও সচিন বারেবারেই তাঁর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা বাতিল করেছেন।
সচিন গোষ্ঠীর বিধায়কদের বক্তব্য, তাঁরা গেহলৌতের নেতৃত্বে কাজ করতে ইচ্ছুক নন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে কংগ্রেস বারেবারেই দাবি করেছে যে, গেহলৌতের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। রাজ্যে কংগ্রেস সরকারের অস্তিত্বে কোনও সংকট নেই।