জয়পুর: জমি-বিবাদের জেরে এক পুরোহিতকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসশাসিত রাজস্থানে। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে এখন তপ্ত মরু-রাজ্যের মাটি।

জয়পুর থেকে ১৭৭ কিলোমিটার দূরে করৌলি জেলার বাসিন্দা বাবুলাল বৈষ্ণব স্থানীয় মন্দিরে পুজো করতেন। মন্দিরের সম্পত্তি থেকে ১৩ বিঘা জমিতে বাবুলালকে চাষবাসের অনুমতিও দেওয়া হয়।
এখান থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। স্থানীয় সূত্রে দাবি,চাষের জমি সংলগ্ন জায়গায় বাড়ি তৈরি করছিলেন বাবুলাল।এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মীনা সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ। যে জমিতে বাবুলাল বাড়ি তৈরি করছিলেন, সেটি তাঁদের বলে দাবি করেন তাঁরা। গ্রামের মোড়লরা অবশ্য পুরোহিত বাবুলালের পক্ষেই রায় দেন। এরপর ফের সেখানে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন তিনি।

কিন্তু, মীনা সম্প্রদায়ের লোকেরাও ওই জমিতে ঘর তৈরিতে হাত লাগায়।
পুরোহিত বাবুলাল তাতে বাধা দিলে অশান্তি বেধে যায়। তখনই তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের সরকারকে আক্রমণ করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি।

সম্প্রতি হাথরসকাণ্ডকে হাতিয়ার করে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল কংগ্রেস। এবার কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে পুরোহিতকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে এই ঘটনা নিয়ে গহলৌত সরকারকে নিশানা করেছেন।

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ট্যুইটারে লিখেছেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সভ্য সমাজে এধরনের ঘটনার কোনও জায়গা নেই। সরকার মৃতের পরিবারের পাশে আছে। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। দোষীদের কেউ ছাড়া পাবে না।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর আগে পুলিশের কাছে ছ’জনের নাম বলেন বাবুলাল। তাঁদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কয়েকমাস আগে, মহারাষ্ট্রের পালঘরে দুই সাধুকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সারা দেশে। এবার কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে পুরোহিতকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।