জয়পুর: রাজস্থানে পৌরসংস্থার নির্বাচনে সাফল্য কংগ্রেসের। ৬২০ ওয়ার্ডে জয়ী হয়ে রাজ্যের শাসক দল হারিয়েছে বিজেপিকে। বিরোধী দল জিতেছে ৫৪৮ আসনে। ৫০ টি পৌর সংস্থার ১৭৭৫ ওয়ার্ড কাউন্সলির পদে নির্বাচন হয়েছিল। রবিবার এর ফলাফল ঘোষিত হয়েছে।

মোট আসনের মধ্যে ৫৯৬ টিতে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
রাজস্থানের ১২ টি জেলাজুড়ে এই নির্বাচনে বিএসপি সাতটি, দুটি করে আসনে সিপিএম ও সিপিআই ও আরএলপি একটি আসনে জয়ী হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে এ কথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা।
২,৬২২ বুথে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করেছিল। ভোটদাতার সংখ্যা ছিল ১৪.৩২ লক্ষ। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ৭,২৪৯ প্রার্থী। এই পুর বোর্ডগুলির চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি এদিনই জারির কথা। চেয়ারম্যান পদের জন্য ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২১ ডিসেম্বর।
রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতি গোবিন্দ সিংহ দোতাসরা দলের সমস্ত বিজয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মানুষ কংগ্রেসের ওপর আস্থা প্রকাশ করেছেন এবং সুশাসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনে কঠোর পরিশ্রমের জন্য তিনি দলের কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর পুরভোটে ঘুরে দাঁড়াল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত রাজ ভোটে বিজেরি ১২ জেলা পরিষদে বোর্ড গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। অন্য কংগ্রেস মাত্র পাঁচটি জেলা পরিষদের বোর্ড গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন পেয়েছিল।

দোতাসরা দাবি করেছেন, ৪৩ নগর পালিকা ও ৭ নগর পরিষদ সহ মোট ৫০ পৌরসংস্থার মধ্যে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ ১৭ টি আসনে জিতেছে। নির্দল প্রার্থী যাঁরা জিতেছেন, তাঁদের অধিকাংশই কংগ্রেসের সমর্থনপুষ্ট।

এত বেশি সংখ্যক নির্দল প্রার্থীদের জয়ী হওয়া সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, কংগ্রেস শাসক দল হওয়ায় অনেকেই দলের টিকিট প্রত্যাশী ছিলেন। টিকিট না মেলায় তাঁরা নির্দল হয়ে ভোটে লড়েছেন। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন যে, কৌশলগত কারণেই ভরতপুরের মতো বিভিন্ন জায়গায় দলীয় প্রতীক না দিয়ে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল। এই কৌশল কাজে দিয়েছে।
অন্যদিকে, পুর ভোটে পরাজয় সম্পর্কে বিজেপি নেতাদের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।