দক্ষিণ ভারতের মেগাস্টার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগের সিদ্ধান্তেই অবিচল থাকুন, এই দাবি রেখে গতকাল বড়সড় একটি বিক্ষোভ দেখিয়েছে তাঁর ভক্তদের একাংশ। যদিও ৭০ বছরের রজনীকান্ত এদিন বিবৃতি জারি করে বুঝিয়ে দিলেন, রাজনীতির মঞ্চে তিনি অবতীর্ণ না হওয়ার সিদ্ধান্তেই অবিচল রয়েছেন।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি নতুন বছরে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন রজনীকান্ত। তাঁর যে ঘোষণার পরই তুমুল সাড়া পড়েছিল তাঁর ভক্তদের মধ্যে। ডিসেম্বরের ৩ তারিখ কার্যত রণংদেহী মেজাজে রাজনৈতিক ভূমিতে নামার অঙ্গিত দিয়ে রজনীকান্ত বলেছিলেন, 'হয় এখন নয়তো কখনোই নয়।'
কিন্তু নতুন বছর আসার আগেই স্বাস্থ্যের একাধিক সমস্যার জেরে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল রজনীকে। যার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি আগের ঘোষণা থেকে একশো আশি ডিগ্রি উল্টোপথে হেঁটে জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছেন তিনি।
স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাকেই যার কারণ হিসেবেও জানিয়েছিলেন রজনীকান্ত। তিনি বলেছিলেন, 'আমার হাসপাতালে ভর্তি হওয়াটাকে ঈশ্বরের নিষেধাজ্ঞা হিসেবেই দেখছি। গভীর দুঃখের সঙ্গেই জানাতে চাই রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসছি।'
রজনীকান্ত রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিলেও তাঁর ভক্তরা অবশ্য এখনও তাঁকে দেখতে চান সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিতে। তাই তারা নিজেদের মতো বিক্ষোভ, দাবি দাওয়া পেশের কাজ চালাচ্ছেন। গতকাল যে বিক্ষোভে ভক্তসংখ্যার বহর ছিল চোখে পড়ার মতো। যা দেখেই সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বিবৃতি দেন তিনি। বিক্ষোভ দেখালেও কোনও বিশৃঙ্খলা তৈরি না হওয়ার জন্যও সমর্থকদের ধন্যবাদও দিয়েছেন তিনি।
মেগাস্টার রজনীকে রাজনৈতিক ময়দানে দেখার আবদার তাঁর ভক্তদের নতুন নয়। গত ২৫ বছর ধরে তাঁকে সেই অনুরোধ করেছেন ভক্তরা। শেষমেশ তাঁর ঘোষমাই অনেকেই প্রত্যাশাপূরণের আনন্দ পেয়েছিলেন বটে। কিন্তু অসুস্থতাই হয়তো রজনীকান্তের ভাষায় তাঁর রাজনীতিতে যোগদান 'কখনোই নয়' করে তুলল।