চেন্নাই: জওহরলাল নেহরু, রাজীব গাঁধীর মতো ‘ক্যারিশ্মার অধিকারী’ নেতা বলে নরেন্দ্র মোদির সুখ্যাতি করলেন রজনীকান্ত। লোকসভা ভোটে বিজেপির বিপুল জয় মোদির নেতৃত্বের জন্যই সম্ভব হয়েছে বলে অভিমত জানিয়েছেন তিনি।
তামিল রূপোলি দুনিয়ার প্রবীণ সুপারস্টার নেহরু, ইন্দিরা গাঁধী, রাজীব গাঁধী, অটলবিহারী বাজপেয়ি, কে কামরাজ, সি এন আন্নাদুরাই, এম জে রামচন্দ্রন, এম করুণানিধি, জয়ললিতার মতো ভারতের প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে মোদিকে একাসনে বসান। বলেন, লোকসভা নির্বাচনে এই জয় মোদি নামে এক ব্যক্তির নিজের নেতৃত্বের সাফল্য। ক্যারিশ্মার অধিকারী এক নেতার জয়। সাংবাদিকদের তিনি মোদি সম্পর্কে আরও বলেন, জাতীয় বা রাজ্য, যে স্তরেই হোক, ভারতীয় রাজনীতিতে যে কোনও দলের সাফল্য আসে শুধুমাত্র একজন নেতার (জনপ্রিয়তা) হাত ধরে। উনি ক্যারিশ্মার অধিকারী এক নেতা।
দেশে অতীতেও নেহরু, ইন্দিরা, রাজীব, বাজপেয়ির মতো ক্যারিশ্মার অধিকারী নেতা-নেত্রী ছিলেন বলে উল্লেখ করেন রজনীকান্ত। বলেন, ওদের পর দেশ পেয়েছে মোদির মতো অনন্যসাধারণ প্রতিভার অধিকারী এক নেতাকে। তামিলনাড়ুর দিকে তাকান। কামরাজ, আন্না, কলাইনার, এমজিআর, জয়ললিতার মতো ঈশ্বরদত্ত প্রতিভার অধিকারী নেতা ছিলেন। সেই ধারা অনুসারে মোদির নেতৃত্বের জন্যই এই বিজয় অর্জিত হয়েছে।
তবে দেশের অন্যত্র মোদি হাওয়া থাকলেও ‘মোদি-বিরোধী হাওয়া’র জন্যই কেরল, তামিলনাড়ুর মতো দক্ষিণের রাজ্যে বিজেপি হেরেছে বলেও উল্লেখ করেন রজনীকান্ত। বলেন, রাজনৈতিক হাওয়া থাকলে কেউ তার বিরুদ্ধে যেতে পারে না, স্রোত তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। রজনীকান্তের মতে, তুতিকোরিনে স্টারলাইট ইস্যু, কাবেরী বদ্বীপে মিথেন উত্তোলন প্রকল্প, বিরোধীদের ঝোড়ো প্রচারের জন্যই মোদি-বিরোধী হাওয়া উঠেছিল।
রাহুল গাঁধী লোকসভা নির্বাচনে দলের বেনজির ভরাডুবির জন্য কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাওয়ায় রজনীকান্তের মত, ওনার পদত্যাগ করা উচিত নয়। তিনি বলেন, রাহুলের নেতৃত্ব গুণ নেই বলব না। আসলে কংগ্রেস দলটাকে সামলানো সত্যিই কঠিন বলে মনে হয়। দলে এত প্রবীণ নেতা। একজন তরুণের পক্ষে তাঁদের সামলানো কঠিন। এমনকী আমার এমনও মনে হয় যে, সিনিয়র নেতারা সেভাবে খাটেননি, রাহুলের সঙ্গে বেশি দূর সহযোগিতা করেননি। সুতরাং রাহুলের সরে যাওয়ার কোনও প্রয়োজনই নেই, কারণ গণতন্ত্রে শাসক দলের পাশাপাশি সমান গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দলও।