নয়াদিল্লি: পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা দেশ ঘোষণার দাবিতে তাঁর আনা প্রাইভেট মেম্বার বিলটি সমর্থন করা হবে না, সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হলে সেটি তুলে নিলেন রাজ্যসভা সদস্য রাজীব চন্দ্রশেখর। তবে সরকারের অবস্থানে নিজের অসন্তোষ চেপে রাখেননি তিনি।
চন্দ্রশেখরের বিলে দাবি করা হয়েছিল, পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কও ছিন্ন করুক ভারত। নির্দল এমপি-র আনা বিলটিতে দলমত নির্বিশেষে সভার সদস্যরা সমর্থন করেন। তবে সরকার এজন্য  নতুন আইনের দাবি মানেনি।


গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভায় চন্দ্রশেখর 'দি ডিক্লারেশন অব কান্ট্রিজ অ্যাস স্পনসর অব টেররিজম বিল, ২০১৬' বিবেচনার আর্জি জানান। গত বছরের উরি হামলার পর থেকে পরিস্থিতি আমূল বদলে গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বিলে বলা হয়েছিল, কোনও দেশকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক ঘোষণা করে তার সঙ্গে আর্থিক, বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ করে সে দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধেও আইনি, আর্থিক ও ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের এজেন্টদের লালন পালন করে, তাদের তোল্লাই দেয়, যারা বারবার আমাদের দেশের ভূখণ্ড ও জনগণের ওপর বারবার হামলা করেছে। পাকিস্তান এই অঞ্চলের শান্তি, সুস্থিতির সামনে বিপদ হয়েই রয়েছে। সেদিন তিনি এও বলেছিলেন, পাকিস্তান বছরের পর বছর ধরে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে, প্রকাশ্যে এ কথা সজোরে বলব।

বিতর্কের পর এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র রাষ্ট্রমন্ত্রী গঙ্গারাম আহির বলেন, সরকার সন্ত্রাস মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে। দেশে এখন যে আইন আছে, সেটাই কোনও সন্ত্রাসবাদী দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে যথেষ্ট। চন্দ্রশেখরকে বিলটি তুলে নিতে বলেন আহির।
তবে চন্দ্রশেখর ক্ষোভের সুরে বলেছেন, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ঘোষণার ক্ষমতা থাকলেও সরকার কিছু না করলে সংসদ মুখ বুজে চুপচাপ বসে থাকতে পারে না। পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র, আমরা সবাই জানি। এটা ফের তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন নেই। আমি সরকারকে বলতে চাই, স্থিতাবস্থা রাখলে চলবে না, পাকিস্তানের মোকাবিলার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।