শনিবার কান্দিলকে খুন করেছে তাঁর ভাই। ফেসবুকে সাহসী ছবি, ভিডিও ও মন্তব্য পোস্ট করার জন্য সে বেশ কয়েকদিন ধরেই হুমকি দিচ্ছিল দিদিকে। সম্প্রতি এক ধর্মগুরুর সঙ্গে ছবি তুলে বিতর্কে জড়ান কান্দিল। তিনি বিরাট কোহলিকে প্রেম নিবেদনও করেছিলেন। মনে করা হচ্ছে, একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার জন্যই ভাইয়ের রোষে পড়েন এই মডেল।
এই হত্যাকাণ্ডের খবর জানার পরেই রাখি বলেছেন, মোদী যখন ‘বেটি বাঁচাও’ প্রকল্প চালু করেছেন, শরিফ তখন ‘বেটি হটাও’ চালু করেছেন। আমি কৃতজ্ঞ যে মোদী আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি শুধু ‘বেটি বাঁচাও’-এর আদর্শেই বিশ্বাস করেন না, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য নিজে উদ্যোগ নিয়েছেন। ভারতে মহিলাদের নিরাপত্তা এবং ক্ষমতায়নের জন্য একাধিক আইন করেছেন।
রাখির প্রশ্ন, সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলামেলা ছবি দেওয়ার জন্য, না কি ভারত এবং ভারতের সেলিব্রিটিদের পছন্দ করার জন্য খুন হতে হল কান্দিলকে? ভারত ও ভারতীয়দের ভালবাসা কি অপরাধ? যদি একজন ধর্মগুরুর সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক থাকে, তাহলেও কি তাঁকে খুন করা যায়? পাকিস্তানে কি মেয়েরা নিজেদের মতো করে বাঁচতে পারে না?
কান্দিলকে হত্যা করার আগে তাঁর উপর অত্যাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রাখির। এই হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্য শরিফের কাছে আবেদন জানিয়েছেন রাখি।