চণ্ডীগড়: কাল পঞ্জাবের ধর্মীয় গোষ্ঠী ডেরা সাচা সৌদা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংহের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার রায় দেবে স্থানীয় আদালত। এই গোষ্ঠীর লাখ লাখ উগ্র সমর্থকের কথা মাথায় রেখে পঞ্জাব ও হরিয়ানায় সর্বোচ্চ পর্যায়ের অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

সাবধানতা হিসেবে আজ ও কাল বন্ধ রাখা হয়েছে চণ্ডীগড় ও পাঁচকুলা জেলার সমস্ত স্কুল, কলেজ।

গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, ১ লাখ ডেরা সাচা সৌদা সমর্থক ইতিমধ্যেই পাঁচকুলায় এসে পৌঁছেছেন। এখনও আসছেন দলে দলে। এঁরা নিজেদের বলেন প্রেমী ও গুরমিত রাম রহিমকে পিতাজি। এঁরা জানাচ্ছেন, পিতাজির সঙ্গে একাত্মতা দেখাতেই তাঁরা পাঁচকুলায় এসে পৌঁছেছেন, তাঁদের আটকানোর জন্য প্রশাসন কোনওরকম নির্দেশ দিলে ফল খারাপ হবে।



এখানকার বিশেষ সিবিআই আদালতে কাল ব্যক্তিগতভাবে গুরমিত রাম রহিমের হাজিরা দেওয়ার কথা।

অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির চিঠির ভিত্তিতে ২০০২ সালে ডেরা প্রধানের বিরুদ্ধে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে ধর্ষণের মামলা করে সিবিআই। এতে বলা হয়, দুই মহিলা ভক্তকে ডেরা প্রধান যৌন নির্যাতন করেছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। জনৈক সাংবাদিকের হত্যার ঘটনাতেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছে।

অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে পাঁচকুলায় মোতায়েন করা হচ্ছে আধা সামরিক বাহিনী। ৫,০০০ পুলিশ কর্মী চণ্ডীগড়ে মোতায়েন হয়েছেন, পাঁচকুলাতেও রয়েছেন ৫,০০০। ২,০০০ পুলিশ ডিউটি দিচ্ছেন মোহালিতে। লাঠি ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডেরা সমর্থকদের ঘোরাঘুরি নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন।



বুধবার সন্ধে ছটা থেকে সিল করে দেওয়া হয়েছে চণ্ডীগড়ের সীমানা, নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না শহরে।

হরিয়ানার সিরসায় ডেরা সদরদফতর। এর পাশেই ভাটিন্ডা। ডেরা সমর্থকরা যাতে সেখানে ঝামেলা চালাতে না পারেন, তাই ভাটিন্ডায় বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আগামীকাল বন্ধ থাকবে সিরসার সব সরকারি বেসরকারি স্কুল।