রোহতক:  শুক্রবার পাঁচকুলার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের রায়ে ধর্ষণ মামলায় দোষীসাব্যস্ত হন স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিম সিংহ। আগামী ২৮ তারিখ সাজা ঘোষণা। তবে রায় ঘোষণার পরই হরিয়ানা জুড়ে তাণ্ডব শুরু করে ধর্মগুরুর অনুগামীরা। ঘটনায় ৩১ জনের মৃত্যু হয়, আহত বহু। পুড়ে ছারকার হয়ে যায় একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলের ওবি ভ্যান, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, দমকলের গাড়ি, বিদ্যুৎ দফতরের অফিস, পেট্রোল পাম্প ও মিল্ক অফিস। এরপর আদালত থেকে হেলিকপ্টারে করে ধর্মগুরুকে রোহতকের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, সারা রাত রোহতকের বিশেষ সেলে ভিআইপি ব্যবস্থাপনার মধ্যেই রাত কাটিয়েছেন রাম রহিম।


এদিকে গতকালের তাণ্ডবের জেরে সাঙ্গরুর, পাতিয়ালার মতো বহু জায়গায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হরিয়ানা, পঞ্জাবে প্রায় ১৫ হাজার আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

আজ সকালে আরও দু কোম্পানি সেনা ও দশ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী নামানো হয়েছে হরিয়ানা-পঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আজ বাড়ির মধ্যেই থাকার আর্জি জানিয়েছে প্রশাসন। আপাতত, থমথমে পাঁচকুলার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। পুরো এলাকা কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

রোহতক জেল সূত্রে খবর, বিশেষে সেলে ধর্মগুরুর জন্যে বিশুদ্ধ পাণীয়র (মিনারেল ওয়াটারের) বোতলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলের মধ্যে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন একজন সহকারীও।

প্রসঙ্গত, গতকাল তাঁকে প্রথমে রোহতকে পুলিশের একটি অতিথি নিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে অনেক রাতে তারপর রোহতক জেলের বিশেষ সেলে তাঁকে সরানো হয়।