চণ্ডীগড়: দৈনিক আট-ঘণ্টা ‘শ্রমে’ জেলে সব্জি চাষ ও গাছ লাগানোর কাজ করবে গুরমীত রাম রহিম। পরিবর্তে পাবে ২০ টাকা।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত সিরসায় ৭০০ একর এলাকা নিয়ে তৈরি সুবিশাল ডেরা সচ্চা সৌদা সদর দফতরে রাজ করত রাম রহিম। দৈনিক গড় আয় ছিল আনুমানিক কয়েক কোটি টাকা। কিন্তু, ২৮ অগাস্টের পর জীবন পাল্টে গিয়েছে। জোড়া ধর্ষণ মামলায় ২০ বছরের জেল হাজতে রাম রহিম। এখন ৫০ বছরের স্বঘোষিত গডম্যানের জন্য বরাদ্দ রোহতকের সুনারিয়া জেলের আট ফুট বাই আট ফুটের ছোট্ট ঘর।
জেলে যে ব্যারাকে রয়েছে গুরমীত, তার পাশেই রয়েছে একটি ছোট্ট একফালি জমি। হরিয়ানা ডিজি (কারা) কে পি সিংহ জানিয়েছেন, সেখানেই সব্জি ফলাবে ডেরা প্রধান। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই, সব্জি ফলনের কাজ শুরুও করে দিয়েছে গুরমীত। সেই সব্জি জেলের হেঁসেলেই ব্যবহৃত হবে বলে জানান ডিজি। পাশাপাশি, ব্যারাকের চৌহদ্দির মধ্যে বিভিন্ন গাছও লাগাবে ‘বাবা’। এর জন্য গুরমীত দৈনিক ২০ টাকা করে উপার্জন করবে। একজন কয়েদিকে দিনে সর্বাধিক আট ঘণ্টা করে কাজ করতে হয়।
জেলে কেমন রয়েছে ডেরা প্রধান? কেমনই বা তার আচরণ? ডিজি জানান, জেলে স্বাভাবিক ব্যবহার করছে এই হাই-প্রোফাইল কয়েদি। তিনি মনে করিয়ে দেন, জেলে রাম রহিমকে কোনও বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। বাকি কয়েদিদের মতোই তাকে রাখা হয়েছে। একই খাবার দেওয়া হচ্ছে। তিনি যোগ করেন, রাম রহিম কোনও প্রকার অসুবিধে সৃষ্টি করছে না। ভীষণই নিয়ম মেনে চলছে।