নয়াদিল্লি: রাম জন্মভূমিতেই রাম মন্দির হওয়া উচিত। মসজিদ হোক নদীর ওপারে। অযোধ্যা-বিতর্কের সমাধানে এমনই প্রস্তাবে দিলেন বিজেপি সাংসদ তথা আইনজীবী সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
রাম মন্দির ইস্যুতে মঙ্গলবার তাৎপর্যপূর্ণ প্রস্তাব দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তার প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালত জানায়, আদালতের বাইরে যাতে গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছনো যায়, তার জন্য সব মহলই চেষ্টা করুক।
আদালত আরও জানায়, দরকারে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করা হোক। প্রয়োজনে আদালতও মধ্যস্থতাকারী নির্বাচিত করতে পারে। প্রধান বিচারপতি জে এস খেহার জানিয়েছেন, যদি সব পক্ষ চায়, তাহলে তিনিও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে রাজি।
এরপরই, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী আদালতের বাইরে বলেন, আমরা সবসময় তৈরি। মন্দির এবং মসজিদ দুই নির্মাণ হোক। তবে, সরযূর ওপারে হোক মসজিদ। রাম জন্মভূমি সম্পূর্ণভাবে রাম মন্দিরের জন্যই থাকা উচিত।
এই প্রেক্ষিতে তিনি সৌদি আরব তথা অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করে স্বামী বলেন, মসজিদ হল এমন একটা জায়গা যেখানে প্রার্থনা (নমাজ) পাঠ হয়। তাঁর মতে, প্রার্থনা যে কোনও জায়গায় হতে পারে। কিন্তু, রাম জন্মভূমির জায়গা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
শুধু সুব্রহ্মণ্যম স্বামী নন, এদিন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ‘কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী’ নেতা বলে পরিচিত গিরিরাজ সিংহ এবং উমা ভারতীও অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের দাবি তোলেন।
গিরিরাজ বলেন, সব দলের উচিত এই বিষয়ে (অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ) উদ্যোগী হওয়া। তিনি যোগ করেন, মুসলিমদেরও এগিয়ে আসা উচিত। তাতে সৌভাতৃত্ববোধ জাগবে।
১৯৯০ সালে রাম জন্মভূমি আন্দোলন নিয়ে জড়িত ছিলেন উমা ভারতী। তিনি বলেন, বিতর্কিত জায়গার আসল মালিকানার ইস্যুটি আলোচনার মাধ্যমেই মিটিয়ে ফেলা উচিত। তাঁর মতে, এই জমিকে রামের নামে উৎসর্গ করা উচিত। যা মানুষ কয়েক হাজার বছর ধরে মনে রাখবে।