নয়াদিল্লি: ৭ বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ১০ বছর কারাদণ্ড হয় এক ব্যক্তির। সাজা কমানোর জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল সে। আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। হাইকোর্ট জানায়, এধরনের ঘৃণ্য অপরাধ শিশু মনে সারা জীবন স্থায়ী ক্ষতের মতো থেকে যায়। শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ও বেড়ে ওঠা বাধা পায়।

কোর্টের রায়ে বলা হয়, ট্রায়াল কোর্টে শিশুকন্যার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল। সেই বিবৃতি অনুযায়ী অপরাধের নিষ্ঠুরতা বিচার করে এই রায়ই দেয় কোর্ট। সাজা কমানোর আর্জি খারিজ হয়ে যায়।
বিচারপতি সুনীতা গুপ্ত জানিয়েছেন, এই নৃশংস, ঘৃণ্য ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন শিশুটির বয়স ছিল মাত্র ৭। এই ধরণের ঘটনা শিশুমনে স্থায়ী প্রভাব ফেলে। তার স্বাভাবিক বিকাশ ও বেড়ে ওঠায় ব্যাঘাত ঘটায়। ভয়ের সঞ্চার করে। নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। সেই সঙ্গে বয়ে বেড়াতে হয় লজ্জা।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ১৮ এপ্রিল ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। বাড়ির বাইরে খেলছিল মেয়েটি। অপরাধী দুধ নাথ নামে ওই ব্যক্তি মেয়েটিকে নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। ট্রায়াল কোর্ট ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১৮ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয়। এরই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল ওই ব্যক্তি।