ভুবনেশ্বর: রসগোল্লা নিয়ে লড়াইয়ে বাংলাকে টেক্কা দিতে এবার এক নতুন অস্ত্র প্রয়োগ করতে চলেছে ওড়িশা সরকার। এই রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী প্রদীপ কুমার পানিগ্রাহীর দাবি, পঞ্চদশ শতকের আগে রসগোল্লার অস্তিত্বর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি এ বিষয়ে রিপোর্ট দিয়েছে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে দু সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের অবহিত করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

রসগোল্লা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলার সঙ্গে ওড়িশার লড়াই চলছে। ওড়িশার দাবি, কলকাতায় নয়, প্রথমে তাদের রাজ্যেই রসগোল্লা তৈরি হয়েছিল। এ বিষয়ে ‘জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন’ ট্যাগ পাওয়ার লক্ষ্যেই একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই কমিটি ২৭ পাতার গবেষণা ৭৫টি বিষয় উল্লেখ করে ১০০ পাতার তথ্য সম্বলিত রিপোর্ট জমা দিয়েছে।

 

এই কমিটির অন্যতম সদস্য অসিত মোহান্তি বলেছেন, বলরাম দাস রচিত ‘দণ্ডি রামায়ণ’-এ রসগোল্লার বর্ণনা আছে। ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এই বই প্রকাশ করেছিল। সেখানে প্রভু জগন্নাথের পূজা-অর্চনার সঙ্গে রসগোল্লার যোগ থাকার উল্লেখ রয়েছে। ১৯২৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত ওড়িশা সাহিত্যতেও ও রাজ্যেই রসগোল্লার উৎপত্তির উল্লেখ রয়েছে। ৬০০ বছর ধরে জগন্নাথদেবকে রসগোল্লা নিবেদন করা হচ্ছে। শ্রী চৈতন্যদেবের হাত ধরে বাংলা থেকে ওড়িশায় রসগোল্লা আসেনি।

 

অসিম আরও বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হাতে রসগোল্লা আবিষ্কার নিয়ে কোনও প্রমাণ নেই। তাই তারা জিআই ট্যাগের জন্য আবেদন করেনি। একমাত্র ওড়িশাই আবেদন করছে। ফলে তাঁরা এবার সহজেই জিআই ট্যাগ পেয়ে যাবেন।