১৯৪৯ সালের ব্যাঙ্কিং আইনের ৩৫এ ধারা সংশোধন করা হয়েছে। অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, ব্যাঙ্কগুলি অনাদায়ী ঋণ আদায়ের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, ব্যাঙ্কগুলির অসঞ্চালিত সম্পদের (নন-পারফরমিং অ্যাসেটস) পরিমাণ অনেক বেড়ে গিয়েছে। ফলে ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক কার্যকলাপ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সেই কারণেই এই অর্ডিন্যান্সের কথা ভেবেছে সরকার। ব্যাঙ্কিং আইনের ৩৫এ ধারা সংশোধন করার পাশাপাশি ৩৫এএ এবং ৩৫এবি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে স্থিতাবস্থার ফলে অর্থনৈতিক অসাড়তা তৈরি হয়েছে। এটা চলতে দেওয়া যায় না। অচলাবস্থা ভাঙা দরকার।
জেটলি আরও বলেছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাঙ্কগুলির বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। এছাড়া ব্যাঙ্কগুলির ঋণ সংক্রান্ত বিষয়টির উপর নজরদারি চালাবে একটি কমিটি। অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা এ বিষয়ে নাক গলাবে না। দুর্নীতি দমন করার জন্য আইন সংশোধনের কথাও ভাবছে সরকার।