নয়াদিল্লি: চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশমের (টিডিপি) শরিক হিসাবে অন্ধ্রপ্রদেশে ক্ষমতাসীন সরকারে আছে বিজেপি। আবার কেন্দ্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে জোট শরিক টিডিপি। কিন্তু ইদানীং টিডিপিকে প্রকাশ্যেই গালমন্দ করছেন অন্ধ্রের বিজেপি নেতারা। ফলে টানাপড়েন চলছে বিজেপি-টিডিপি জোটে। আজ প্রথম এ ব্যাপারে মুখ খুলে জোট ভাঙার ইঙ্গিত দিলেন চন্দ্রবাবু। বিজেপির কোর্টে বল ঠেলে তিনি জানিয়ে দিলেন, ওরা জোট বহাল রাখতে আগ্রহী না থাকলে টিডিপি নিজের রাস্তা দেখে নেবে। তাঁর এই মন্তব্যে জোট ভাঙার পরোক্ষ হুঁশিয়ারি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘোষণা করেছে, তারা ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনে, মহারাষ্ট্রের ভোটেও বিজেপির সঙ্গে থাকবে না, আলাদা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
অন্ধ্রের যে বিজেপি নেতারা টিডিপির নিন্দা করছেন, তাঁদের সামলানোর দায়িত্ব বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের, বলেন চন্দ্রবাবু। সাংবাদিকদের সামনে দেশম প্রধান দাবি করেন, বিজেপি নেতাদের মন্তব্যে পাল্টা তোপ দাগা থেকে তিনি দলনেতাদের সংযত রেখেছেন। বলেন, জোটধর্ম মেনে আমরা মুখ বুজে রয়েছি। ওরা আমাদের সঙ্গে থাকতে না চাইলে আমরাও নমস্কার জানিয়ে নিজেদের রাস্তা দেখে নেব। আমরা তৈরি।
সম্প্রতি নানা ইস্যুতে শরিক টিডিপির সমালোচনা করছেন অন্ধ্র বিজেপি নেতারা। কেউ কেউ আবার এমনও ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁরা ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে হাত মেলাতে তৈরি। আবার জগনমোহনও সম্প্রতি বলেন, অন্ধ্রকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার শর্তে তাঁরা বিজেপিকে সমর্থনে রাজি।
এই প্রেক্ষাপটেই আজ তীব্র প্রতিক্রিয়া দিলেন চন্দ্রবাবু।


ওয়াইএসআর কংগ্রেস ছেড়ে টিডিপিতে যাওয়া চার বিধায়ককে মন্ত্রিসভায় নেওয়ায় চন্দ্রবাবুর প্রকাশ্যে নিন্দা করেছেন বিধানসভায় বিজেপি নেতা বিষ্ণু কুমার রাজু।