ওয়াশিংটন: রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গাঁধীর।  কংগ্রেস দলে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে রাহুল বলেছেন, সারা ভারতেই তো এটাই দস্তুর। দেশের অধিকাংশ দলেরই এই সমস্যা রয়েছে.. অখিলেশ যাদব...স্ট্যালিন (ডিএমকে), এমনকি অভিষেক বচ্চনও পরিবারতন্ত্রের ফল। যেমন, আম্বানিরাও ব্যবসা করে। ইনফোসিসেও তাই-ই হচ্ছে।


রাহুল বলেছেন, কংগ্রেসে এমন অনেক লোক রয়েছেন, তাঁরা পারিবারিক সূত্রে দলে আসেননি।আবার এমনও অনেকেই রয়েছেন যাঁদের বাবা বা দাদু রাজনীতিতে ছিলেন। এক্ষেত্রে সক্ষমতা, সংবেদনশীলতাই মাপকাঠি হওয়া উচিত। আমেরিকার বার্কলে-তে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেছেন রাহুল।

দলের সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের কারণ ব্যাখ্যা করে রাহুল বলেছেন, ২০১২-নাগাদ কংগ্রেস মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছিল। ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর এটা যে কোনও দলের পক্ষেই সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি বলেছেন, ২০১২ নাগাদ দলের মধ্যে ঔদ্ধত্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। আর সেই ঔদ্ধত্যই মানুষের সঙ্গে দলের যোগাযোগ ছিন্ন করে দিয়েছিল।

রাহুল বলেছেন, ২০০৪-এ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারে ক্ষমতায় এসে আগামী ১০ বছরের জন্য একটা রূপরেখা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১০-১১ তে এসে ওই রূপরেখা যে আর কাজ করছিল না, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

রাহুল আরও বলেছেন, বর্তমান বিজেপি সরকার যে সব কর্মসূচী হাতে নিয়েছে সেগুলির উদ্যোগ কংগ্রেসের আমলেই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কর্মসূচীর মূল কাঠামো এখন আর ততটা কাজ করছে না। এটা তাঁদের জানা আছে।

নরেন্দ্র মোদীর জমানায় দেশে মহাত্মা গাঁধীর অহিংসার আদর্শ সংকটে পড়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস সহ সভাপতি।

রাহুল প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিদেশনীতিরও তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সরকারের অবস্থানের সঙ্গে তাঁরা সহমত। আমেরিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার। কিন্তু সরকারের নীতি ভারতকে সংকটে ফেলে দিচ্ছে। প্রতিবেশী নেপাল, মায়ানমার, মালদ্বীপের মতো দেশগুলিতে চিনের প্রভাব বাড়ছে। এভাবে ভারত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে তা বিপজ্জনক।

রাহুল বলেছেন, প্রয়োজনে তিনি কার্যনির্বাহকের দায়িত্ব নিতে রাজি। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে দলই সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেছেন, কংগ্রেসে সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে।