নয়াদিল্লি: নোভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লাল পিঁপড়ের চাটনি! এমনই এক বিস্ময়কর প্রস্তাব ঘিরে শোরগোল চলছে।  ওড়িশা, ছত্তিশগড় সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের আদিবাসী এলাকায় লাল পিঁপড়ে ও সবুজ কাঁচালঙ্কার মিশ্রণে তৈরি এই চাটনি খাওয়ার চল আছে বলে শোনা যায়।  সাধারণ সর্দি-কাশি, ফ্লু, ঠান্ডা লাগা, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তির মতো শারীরিক সমস্যায় নাকি এই চাটনি বা স্যুপ খায় আদিবাসীরা।


এবার ওড়িশার বারিপদার এক ইঞ্জিনিয়ার তথা গবেষক ওড়িশা হাইকোর্টে জনস্বার্থ পিটিশন  পেশ করে দাবি করলেন, তিনি করোনা মোকাবিলায় লাল পিঁপড়ের চাটনির কার্যকারিতা, ক্ষমতা  নিয়ে গবেষণার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু তা ফেলে রাখা হয়েছে। কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি। তিনি আদালতের হস্তক্ষেপ চান। তাঁর এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক ও কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর)কে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।


গত জুনে প্রথম করোনাভাইরাস রুখতে এই চাটনি খাওয়ার প্রস্তাব দেন নয়াধর পাধিয়াল নামে ওই ইঞ্জিনিয়ার-গবেষক। পরে তিনি এব্যাপারে আদালতে জনস্বার্থ পিটিশন দায়ের করেন।


ওড়িশা হাইকোর্টের বেঞ্চ বলেছে, মামলার যৌক্তিকতা, গ্রাহ্যতা নিয়ে কোনও মতামত দিচ্ছে না আদালত। রিট পিটিশনটি খারিজ করে আয়ুষ মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল ও সিএসআইআর-এর ডিরেক্টর জেনারেলকে আবেদনকারীর পেশ করা  আবেদনের ওপর তিন  মাসের মধ্যে যথাযথ সিদ্ধান্ত জানাতে নির্দেশ দেওয়া হল।


পাধিয়ালকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, পিঁপড়ের চাটনিতে ফর্মিক অ্যাসিড, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-১২, জিঙ্ক, আয়রনের মতো উপাদান আছে যা রোগ প্রতিরোধ শক্তি চাঙ্গা করে। তিনি বলেছেন, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, হিমাচল প্রদেশ, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের আদিবাসী, উপজাতিরা লাল পিঁপড়ের চাটনি খেয়ে নানা ধরনের রোগ থেকে সেরে ওঠে। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ কম হওয়ার এটা  কারণ হতে পারে। এ নিয়ে যথাযথ বিস্তারিত গবেষণা হলে উপকার হতে পারে।