নয়াদিল্লি: ৯ বছর ধরে একমাত্র মেয়ের হত্যা নিয়ে চলা মামলায় মানসিকভাবে বিধ্বস্ত তলোয়ার-দম্পতি। এদিন হাইকোর্টের রায়ে বেকসুর খালাস হন রাজেশ ও নূপুর। স্বস্তিতে পরিবার।


বায়ুসেনার অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন তথা নূপুরের বাবা বি জি চিটনিস জানান, তাঁর পক্ষে মেয়ে ও জামাইকে দীর্ঘদিন হাজতে দেখাটা ভীষণই যন্ত্রণাদায়ক ছিল। তিনি বলেন, এই রায়ের জন্য আমি বিচারব্যবস্থার প্রতি কৃতজ্ঞ। ওরা দুজন সত্যিই ভীষণ যন্ত্রণাভোগ করেছেন। একেবারে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। এই বয়সে এসে মেয়েকে গারদের পিছনে দেখাটা ভীষণই কষ্টদায়ক।


আরুষির পিসি বন্দনা তলোয়ার জানান, প্রায় এক দশক ধরে গোটা পরিবার যন্ত্রণাভোগ করেছে। ভীষণই ক্লান্তিকর। এই দীর্ঘ সময়ে যাঁরা তলোয়ার দম্পতির পাশে থেকেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ দিয়ে বন্দনা জানান, আরুষি ও হেমরাজকে কে হত্যা করল, তা উভয়পক্ষের আইনজীবীদের খোঁজা উচিত।


২০০৮ সালের এই হত্যা মামলায় নিহত আরুষির বাবা রাজেশ তলোয়ার ও মা নূপুরকে দোষী সাব্যস্ত করে সিবিআই আদালত। এদিন এলাহাবাদ হাইকোর্ট সেই রায় খারিজ করে তলোয়ার দম্পতিকে বেকসুর খালাস করে। বেঞ্চ জানায়, স্রেফ নথিভুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না।