হাথরস: মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার পর প্রায় ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও, এখনও পড়ে রয়েছে নির্যাতিতার অস্থি। পাশেই দেহ পোড়ানোর কেরোসিনের জার। ধর্মীয় রীতি মেনে সেই অস্থিবিসর্জনের সুযোগটুকুও দেওয়া হয়নি মৃতার পরিবারের সদস্যদের! পড়ে রয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতলও।
হাথরসের ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভের মধ্যেই এবিপি আনন্দর ক্যামেরায় এমনই মর্মান্তিক ছবি ধরা পড়ল। এমন দৃশ্য দেখে বিচলিত হওয়াটাই স্বাভাবিক।

অন্যদিকে, গ্রামের চারদিকে থিকথিক করছে পুলিশ। মাছিও গলতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু শোকার্ত পরিবারের কি তাদের মেয়ের অস্থি সংগ্রহেরও অধিকার নেই! পুরো ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের কার্যপদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে হাথরসে ১৯ বছরের এক দলিত কন্যার সঙ্গে নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা সামনে আসে। এরপর চার অভিযুক্ত গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা ঘটে।
চন্দপা থানা এলাকার একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, গ্রামেরই চারজন ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করে। নির্যাতিতার তাঁর বয়ানে বলেন, ধর্ষণের পর তাঁর শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা।
আলিগড়ের স্থানীয় হাসপাতালে নির্যাতিতার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। এজন্য তাঁকে দিল্লির সফদরজঙ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দুষ্কৃতীরা নির্যাতিতার মেরুদণ্ড ও গলা গুরুতরভাবে জখম করে দেয়। তাঁর জিভও কেটে দেওয়া হয়েছিল। নির্যাতিতাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল।
পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।