রাজ্যসভায় হাসি বিতর্ক: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনতে চান রেণুকা চৌধুরী
Web Desk, ABP Ananda | 08 Feb 2018 09:56 PM (IST)
নয়াদিল্লি: বুধবার রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ চলাকালীন তাঁর হাসি নিয়ে ব্যঙ্গ করায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনতে চাইছেন কংগ্রেস সাংসদ রেণুকা চৌধুরী। আজ কংগ্রেসের মহিলা প্রতিনিধি দল রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে দেখা করে প্রধানমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে অভিযোগ জানায়। এরপর রেণুকা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি দলের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করব। আমি একজন স্ত্রী এবং দুই মেয়ের মা। প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের অপমান করেছেন।’ প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা কটাক্ষ করে রেণুকা আরও বলেছেন, ‘দল আমার সঙ্গে আছে। আমি হাসি থামাব না। কারণ, হাসিতে জিএসটি নেই।’ কংগ্রেস নেত্রী কুমারী শৈলজা বলেছেন, ‘কংগ্রেসের সব মহিলা সাংসদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে।’ এনসিপি নেতা ডি পি ত্রিপাঠি বলেছেন, কংগ্রেসের এ বিষয়ে জলঘোলা করা উচিত নয়। তবে যদি কংগ্রেস কোনও ব্যবস্থা নেয়, তাহলে এনসিপি সমর্থন করবে। বিরোধী ঐক্য বজায় থাকবে। গতকাল সংসদের উচ্চকক্ষে যখন বক্তব্য পেশ করছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তখন রেণুকাকে অট্টহাসি হাসতে দেখা যায়। বিষয়টি নজরে আসতেই তাঁকে সতর্ক করেন চেয়ারম্যান। কংগ্রেস নেত্রীর উদ্দেশে বেঙ্কাইয়া প্রশ্ন করেন, ‘আপনার কী হয়েছে? এই ধরনের ব্যবহার ও আলটপকা মন্তব্য বরদাস্ত করা হবে না।’ কিন্তু এরপরও রেণুকাকে দেখা যায় জোরে জোরে হাসতে। বেঙ্কাইয়া যখন ফের একবার তাঁকে সতর্ক করতে উদ্যত হন, তখন নিজের বক্তব্য থামিয়ে মোদী চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন, রেণুকাকে কিছু যেন না বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অনুরোধ করছি, ওনাকে (রেণুকা) কিছু বলবেন না। ওনাকে হাসতে দিন। রামায়ণ সিরিয়ালের পর এধরনের হাসি শোনার সৌভাগ্য আজই হল।’ মোদীর এই মন্তব্য শুনে এবার হাসিতে ফেটে পড়েন বিজেপি সাংসদরা। উল্টোদিকে, চুপ করে যান রেণুকা। পরে সংসদের বাইরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। বলেন, ‘ওনার (মোদী) থেকে কী-ই বা আশা করা যেতে পারে? এটা প্রতিষ্ঠিত যে বিজেপি মহিলাদের বিরুদ্ধে। তিনি যোগ করে বলেন, আসল কথা হল, আমি যখন হাসছিলাম, ওনার গায়ে লাগছিল। কারণ, ওটা সত্যের হাসি ছিল।’ এই বিতর্কের কয়েক ঘন্টা পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রামায়ণের খল চরিত্র শূর্পনখার হাসির একটি ভিডিও পোস্ট করেন। এতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনার কথা বলেন রেণুকা।