নয়াদিল্লি: রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার এক সপ্তাহ পর মুখ খুললেন প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিংহ সিধু। নীরবতা ভেঙে নিশানা করেছেন বিজেপিকে। কিন্তু তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে ধোঁয়াশাই রাখলেন।

সিধুর অভিযোগ, বিজেপি তাঁকে পঞ্জাব থেকে দূরে থাকতে বলেছিল। তিনি বলেছেন, কোনও দল বা পরিবার নয়, তাঁর কাছে পঞ্জাবের স্বার্থই আগে। পঞ্জাবের সেবার কাজ বেছে নেওয়াই তাঁর অগ্রাধিকারের বিষয়।

তিনি আম আদমি পার্টিতে যোদ দেবেন কিনা, এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে সিধু বলেছেন, পঞ্জাবের স্বার্থ যেখানে সিদ্ধ হবে, সেখানেই তিনি থাকবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪-র লোকসভা ভোটে সিধুর পরিবর্তে অমৃতসর আসনে প্রার্থী করা হয় অরুণ জেটলিকে। বিষয়টি যে তিনি মোটেই ভালোভাবে নেননি, তা এদিনও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। সিধু বলেছেন, কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি অমৃতসর আসনে চারবার বিজেপিকে জিতিয়েছিলেন। আর যখন সারা দেশে মোদী-হাওয়া বইছে, তখন তাঁকে ছেঁটে ফেলা হল। তখন তাঁকে লোকসভা কেন্দ্র থেকে দূরে থাকতে বলা হল।

তিনি বলেছেন, একবার নয়, চার-চারবার তাঁকে রাজ্য রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। কিছু মানুষের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তাঁকে এই নির্দেশ দেওয়া হয় বলে সিধু মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি কী ভাবে আমার শিকড় ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারি? রাজ্যসভার সদস্যপদ দিয়ে আমাকে বলা হল, পঞ্জাব থেকে দূরে থাকতে। আমি কি কিছু অন্যয় করেছি? আমাকে অন্তত আমার দোষটা তো বলা হোক! কিছু মানুষের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য আমাকে কেন পঞ্জাবের বাইরে থাকতে হবে?

আগামী বছর পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে সিধু বলেছেন, তিনি সবসময়ই পঞ্জাবের সেবা করতে চান।

তিনি বলেছেন, বিশ্বে কোনও রাজনৈতিক দলই পঞ্জাবের থেকে বড় নয়। পরিণতি যাই হোক না কেন, আমি তা মেনে নিতে তৈরি।

এইজন্যই তিনি রাজ্যসভার সদস্য পদে ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিধু।