অমৃতসর:  হার্ট অফ এশিয়া সম্মলনে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে ফের নাম না করে পাকিস্তানকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বললেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তো বটেই, একইসঙ্গে যারা  জঙ্গিদের মদত, আশ্রয়, প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সাহায্য দেয়, তাদের বিরুদ্ধেও সুদৃঢ় ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা সন্ত্রাসবাদী ও তাদের প্রভুদের উত্সাহিত করে তুলবে। আফগানিস্তানের পটবদলে সাহায্যের জন্য আয়োজিত হার্ট অফ এশিয়ার ষষ্ঠ সম্মেলনে মোদী বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্ত সমগ্র অঞ্চলের পক্ষেই বিপদ হয়ে উঠেছে। মোদী বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও বাইরে থেকে অস্থিরতা বাড়ানোর চেষ্টা আফগানিস্তানের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির পক্ষে ভয়ঙ্কর বিপদ হয়ে উঠেছে। এই সমস্যার অবসানের জন্য আফগানিস্তানের মধ্যে শান্তির পক্ষে সমর্থনই যথেষ্ট নয়। এক্ষেত্রে যৌথভাবে সুদৃঢ় ব্যবস্থা গ্রহণেরও প্রয়োজন রয়েছে। শুধু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেই নয়, যারা সন্ত্রাসবাদীদের মদত, আশ্রয়, প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সাহায্য দেয়, তাদের বিরুদ্ধেও সুদৃঢ় ব্যবস্থা নিতে হবে। এভাবে মোদী ঘুরিয়ে পাকিস্তানকেই নিশানা করেছেন। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির সঙ্গে যৌথভাবে মন্ত্রীপর্যায়ের এই সম্মলনের উদ্বোধন করে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ সহ প্রায় ৩০ দেশের প্রতিনিধিরা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আফগানিস্তানের উন্নতি ও মানবিক চাহিদার বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক দায়বদ্ধতা বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের নেটওয়ার্ককে ধ্বংস করতে একযোগে জোরাল ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। আফগানিস্তানের প্রতি ভারতের দায়বদ্ধতার কথাও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাবুলের পাশেই রয়েছে নয়াদিল্লি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী আফগান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকও করেন।