নয়াদিল্লি: ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) –এর প্রস্তাব নিয়ে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মারিয়া সাসোলিকে চিঠি লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার। চিঠিতে তিনি বলেছেন, একটি আইনসভা সম্পর্কে অন্য এক আইনসভার রায় প্রদান একেবারেই অনুচিত এবং এই প্রথা কায়েমি স্বার্থগুলি অপব্যবহার করতে পারে। চিঠিতে অধ্যক্ষ লিখেছেন, একে অপরের সার্বভৌম প্রক্রিয়াকে মর্যাদা দেওয়া উচিত।
৭৫১ সদস্যের ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ৬০০ সদস্য সিএএ-র বিরুদ্ধে ছয়টি প্রস্তাব আনার উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই আইনের রূপায়ণ ভারতের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত ব্যবস্থায় বিপজ্জনক মোড় নিয়ে আসবে।
ওম বিড়লা তাঁর চিঠিতে ইইউ পার্লামেন্টে প্রস্তাবের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে  লিখেছেন, ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব প্রতিবেশী দেশগুলির ধর্মীয় নির্যাতনের শিকারদের সহজে নাগরিকত্ব প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি বলেছেন, ইন্টার পার্লামেন্ট ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে আমাদের সহ আইনসভাগুলির, বিশেষ করে গণতন্ত্রগুলিতে, সার্বভৌম প্রক্রিয়াকে মর্যাদা দেওয়া উচিত। এর আইনসভা সম্পর্কে অন্য অন্য আইনসভার রায় দেওয়া একেবারেই সমীচিন নয় এবং তা কায়েমি স্বার্থগুলি অপব্যবহার করতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত প্রস্তাবগুলি নিয়ে বিবেচনা করার জন্য আর্জি জানাচ্ছি এবং আশাবাদী যে, আমাদের কেউ এমন একটি অস্বাস্থ্যকর নজির তৈরি করতে চায় না।


ইইউ পার্লামেন্টের ৭৫১ সদস্যের মধ্যে ৬২৬ জন সিএএ ও জম্মু ও কাশ্মীরের পুণর্গঠন-উভয় ইস্যু নিয়ে ছয়টি প্রস্তাব এনেছে।

আগামী মার্চে ভারত-ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রাসেলস সফরের আগে ভারতের বিরুদ্ধে ইইউ পার্লামেন্টে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। এই ঘটনায় কূটনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হতে পারে।
বিদেশমন্ত্রকের সূত্রে জানা গিয়েছে, ইইউ-র এই পদক্ষেপের দিতে নজর রাখছে সরকার। ইইউ-র সদস্যদের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সিএএ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এভাবে ইইউ-র চাপ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।