নয়াদিল্লি: এক পদ এক পেনশন বিতর্কে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী রামকিষাণ গ্রেওয়ালের আত্মহত্যা ঘিরে বিরোধী দলগুলির তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র। প্রয়াত রামকিষাণকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে যান কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়াকেও ঢুকতে বাধা দেয় দিল্লি পুলিশ।

এই ঘটনার পর রাহুল ও আম আদমি পার্টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। রাহুল ট্যুইট করে বলেছেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবার আর্জি জানাচ্ছি সৈন্যদের প্রাপ্ত আদায়ের জন্য যেন সংগ্রাম না করতে হয়। এক পদ এক পেনশন অর্থবহভাবে রুপায়ণ করতে হবে। সুবেদার রামকিষাণ গ্রেওয়ালের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। তাঁর মৃত্যু খুবই শোকাহত’।

তাঁকে হাসপাতালে ঢুকতে বাধাদান প্রসঙ্গে রাহুল প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, এটাই কী গণতন্ত্র?

আম আদমি পার্টি নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল বিজিপি ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এক পদ এক পেনশন নিয়ে ‘মিথ্য কথা’ বলার অভিযোগ এনেছেন। কেজরীবাল বলেছেন, এক পদ এক পেনশন রূপায়িত হয়েছে দাবি করে মিথ্যে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এভাবে প্রাক্তন সমরকর্মীদের চূড়ান্তভাবে ঠকানো হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।

কেজরীবাল বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সমগ্র দেশের কাছে মিথ্যে বলেছেন। এক পদ এক পেনশন রূপায়িত হলে রামকিষাণ কেন আত্মহত্যা করলেন?এ বিষয়ে বিজেপি সরকার যে প্রতারণা করছে, তা এর আগে কখনও হয়েছে বলে মনে হয় না। সেনাবাহিনীকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে এবং রাজনৈতিক স্বার্থে অপব্যবহার করা হয়েছে। রাম কিষাণের মৃত্যু যেন ব্যর্থ না হয়’।

শিশোদিয়াকে হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেজরীবাল। তিনি বলেছেন, একজন উপমুখ্যমন্ত্রীকে নিহতের পরিবারবর্গের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তিনি তো রামকিষাণের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এতে দোষ কোথায় তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন কেজরীবাল। তাঁর দাবি, ভয় পেয়েছেন মোদী।

রাম কিষাণের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। তিনি এ বিষয়ে আধিকারিকদের কাছে বিস্তারিত তথ্য তলব করেছেন।