নগাঁও: মঞ্চে উঠে সবেমাত্র নিজের এলাকার রাস্তাঘাটের সমস্যা নিয়ে বলতে শুরু করেছিলেন অসমের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। সেই সময়ই তাঁর কাছ থেকে মাইক্রোফোন চেপে ধরলেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এমনই ঘটনা ঘটেছে অসমের নগাঁও-তে স্বচ্ছ ভারত মিশনের অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে কয়েকজন আধিকারিক কথা বলার পর ওই প্রাক্তন শিক্ষকের পালা আসে। তিনি মঞ্চে আসেন। আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, স্থানীয় বিধায়কের কাছে তিনি রাস্তা মেরামতির আর্জি জানিয়ে অনেকবারই আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
তিনি আরও বলেন, 'বছরের পর বছর আমোলাপট্টির বিবি রোড সাবওয়ে এলাকার বাসিন্দারা রাস্তার বেহাল দশার জন্য নাজেহাল হচ্ছেন। এখনও তাঁদের আশা নতুন সরকার ও নতুন বিধায়ক রাস্তার উন্নতির জন্য ব্যবস্থা নেবেন। তবে আমি অনেকবারই আবেদনপত্র জমা দিয়েছি। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগই চোখে পড়েনি'।
এ কথা শুনেই রেল প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোহেইন আচমকা নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে ওই শিক্ষকের দিকে এগিয়ে যান এবং সবার সামনেই তাঁর মাইক্রোফোন চেপে ধরেন।
গোহেইনকে বলতে শোনা যায়, 'এসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেননি কেন? আপনি কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে এসেছেন মনে হচ্ছে। যত্তসব'।
মাইক্রোফোনটি আবার হাতে নিয়ে মন্ত্রীর কথার জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই শিক্ষক। কিন্তু মাইক্রোফোন তাঁকে হাতে নেওয়ার কোনও সুযোগই দেননি মন্ত্রী। বরং তিনি বলেন, 'ভাষণ দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না'।





কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে বলেন, অভিযোগ থাকলে ব্যক্তিগতভাবে তাঁর কাছে আসা উচিত ছিল। এভাবে সবার সামনে এসব কথা বলার দরকার ছিল না।
৭৫ বছরের ওই শিক্ষকে মন্ত্রী প্রকাশ্যে তিরস্কারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এলাকার পড়ুয়ারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। মন্ত্রীর কুশপুতুল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এই ঘটনায় গোহাইনের ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।