সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের কুশীনগরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। একটি রক্ষীবিহীন লেভেল ক্রসিংয়ে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে যাওয়া ভ্যানে ধাক্কা মারে যাত্রীবাহী ট্রেন। ১৩ জন পড়ুয়ার মৃত্যু হয় এবং আটজন জখম হন। ট্রেনটি এত জোরে ভ্যানটিতে ধাক্কা মারে, অনেক পড়ুয়ার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে রেলমন্ত্রক। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘সারা দেশে রক্ষীবিহীন লেভেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা ৫,৭৯২। এর মধ্যে ৩,৪৭৯টি ব্রডগেজ শাখায়। গুজরাতে সর্বাধিক ১,৭০০ রক্ষীবিহীন লেভেল ক্রসিং আছে। এছাড়া উত্তরপ্রদেশে ৯১২টি, বিহারে ৭৪২টি, রাজস্থানে ৪৬৪টি, পশ্চিমবঙ্গে ৩১৪টি এবং মধ্যপ্রদেশে ২৫৫টি রক্ষীবিহীন লেভেল ক্রসিং আছে। কুশীনগরের মতো দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্রডগেজ লাইনগুলিতে রক্ষী নিয়োগ করতে চাইছে রেলমন্ত্রক। কর্মীর সংখ্যা কম থাকায় অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মীদেরই ফের নিয়োগ করা হবে। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে কম উচ্চতার সাবওয়ে, রোড ওভারব্রিজ ও রোড আন্ডারব্রিজ তৈরি করা হবে। তবে এক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণের সমস্যা আছে। রাজ্য সরকারগুলির জন্য কাজের গতি শ্লথ হয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে ২০২০ সালের মধ্যে দেশের সব রক্ষীবিহীন লেভেল ক্রসিংয়ের সমস্যা দূর করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল রেলমন্ত্রক। তবে রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ সালের মধ্যেই এই কাজ সম্পন্ন করা হবে। এর জন্য এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর স্তরের এক আধিকারিককে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।