নয়াদিল্লি: অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল নিয়ে সিদ্ধান্ত রাজ্যগুলির ওপরই ছেড়ে দেওয়া হোক। এমনটাই সুপারিশ করল সেন্ট্রাল অ্যাডভাইজারি বোর্ড অফ এডুকেশন (ক্যাবে)।

এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নির্দেশের কপি না দেখে কোনও মন্তব্য করবেন না। যদিও পাস ফেল চালুর পক্ষে তা গতবছরই কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। পাস-ফেল ফিরিয়ে আনার পক্ষেই মত অধিকাংশ শিক্ষাবিদেরও।

এদিন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানান, ক্যাবে-র ৬৪ তম বৈঠকে শিক্ষার অধিকার আইনের বর্তমান ধারাকে সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজীব প্রতাপ রুডি, বিজয় গয়াল, মহেন্দ্র নাথ পাণ্ডে, উপেন্দ্র কুশাওয়াহা, ২১ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এবং বাকি রাজ্য ও কেন্দ্র-শসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিরা। বৈঠকের পৌরহিত্য করেন জাভড়েকর।

তিনি জানান, পাশ ফেল প্রথা না থাকায় কমছে শিক্ষা মান, এমনটাই অভিযোগ করে অধিকাংশ রাজ্য। রাজ্যগুলির দাবি, পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পরীক্ষা চালু করা হোক।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের জাভড়েকর জানান, নো-ডিটেনশন নীতি লাগু করা বা না করার স্বাধীনতা রাজ্যগুলির ওপরই ছেড়ে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য প্রয়োদজনীয় সংশোধনী আনবে কেন্দ্র।

এর আগে ক্যাবে দ্বারা গঠিত বিভিন্ন সাব-কমিটিও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল প্রথা তুলে দেওয়ার নীতির পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করেছিল।

প্রসঙ্গত, শিক্ষা সংক্রান্ত দেশের সর্বোচ্চ উপদেষ্টা কমিটি হল ক্যাবে। এই কমিটিতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির প্রতিনিধিরা রয়েছেন। তবে, উপদেষ্টা হওয়ায় ক্যাবের সিদ্ধান্তগুলি মূলত সুপারিশ-ভিত্তিক। এই সুপারিশকে হাতিয়ার করে এবার ক্যাবিনেটে বিষয়টি উত্থাপন করবে মানবসম্পদ মন্ত্রক।

এদিন জাভড়েকর আরও জানান, বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবার থেকে শিক্ষার ফলাফলের যথার্থতাও মূল্যায়ণ হবে এবং তাকে শিক্ষার অধিকার আইনের আওতায় আনা হবে। অর্থাৎ, যে কোনও শ্রেণিতে একজন পড়ুয়ার ঠিক কতটা জ্ঞান অর্জন করা উচিত, তাও স্পষ্ট করে বলা থাকবে।

সূত্রের খবর, সংশোধনী পাস হলে ২০১৭-১৮ সাল থেকে এই বিধি লাগু হবে। সেক্ষেত্রে নিজেদের ইচ্ছে মতো কোন শ্রেণি পর্যন্ত পাস-ফেল থাকবে বা থাকবে না, রাজ্যগুলি নিজেরাই তা ঠিক করতে পারবে।

পাশাপাশি, সেন্ট্রাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড অফ এডুকেশনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ৫ বছরে দেশের ৫ লক্ষ অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।