নয়াদিল্লি: পথ দুর্ঘটনায় শিকারদের প্রতি অবহেলা ও অমানবিকতার ঘটনা আরও একবার ধরা পড়ল রাজধানী দিল্লিতে। টেম্পোর ধাক্কায় জখম এক ব্যক্তি রাস্তাতেই যন্ত্রনায় কাতরাতে কাতরাতে মারা গেলেন। এই অবস্থায় দিল্লি সরকার পথ দুর্ঘটনার শিকারদের হাসপাতালে নিয়ে এলে পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করতে চলেছে। এ ব্যাপারে খুব শীঘ্রই প্রকল্প ঘোষণা করতে চলেছে দিল্লি সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় ট্যাক্সি বা অটোরিক্সার চালক সহ যে-কেউ দুর্ঘটনায় জখমদের হাসপাতালে নিয়ে এলে পুরস্কার দেওয়া হবে।
দিল্লিতে দুর্ঘটনার শিকারদের দ্রুত সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে এই প্রকল্পের খসড়া সরকার তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। চলতি মাসের শেষের দিকেই ওই খসড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করা হবে। মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র দিলে তা উপরাজ্যপাল নাজিব জঙ্গের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, দিল্লির সুভাষ নগর এলাকায় কাজ সেরে ফেরার পথে এক নিরাপত্তা রক্ষীকে ধাক্কা মারে একটি ডেলিভারি ভ্যান। রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ তিনি পড়ে থাকলেও কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। এরইমধ্যে এক রিক্সাচালক মৃত্যুযন্ত্রনায় কাতরের মোবাইল ফোনটি তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। এই ঘটনার একদিন পর দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে পথ দুর্ঘটনার শিকারদের সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ উদ্যোগের কথা জানানো হল।
সত্যেন্দ্র জৈন বলেছেন, সুভাষনগরের ওই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। পথ দুর্ঘটনার শিকারদের সাহায্যের জন্য পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ সরকার নিয়েছে।
সত্যেন্দ্র জৈন বলেছেন, অনেকেই পুলিশি হয়রানির আশঙ্কায় দুর্ঘটনার শিকারদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে চান না।
কিন্তু এ প্রসঙ্গে তিনি সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের কথা উল্লেখ করেছেন। ওই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট দুর্ঘটনাগ্রস্তদের সাহায্যকারীদের নিগ্রহ বা জেরা করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে। এ কথা উল্লেখ করে সত্যেন্দ্র জৈন দুর্ঘটনার শিকারদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।
পথ দুর্ঘটনায় আহতকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে এবার থেকে পুরস্কার! ভাবনা দিল্লি সরকারের
ABP Ananda, web desk
Updated at:
11 Aug 2016 10:18 AM (IST)
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -