নয়াদিল্লি: গঙ্গা ও যমুনা নদীকে জীবন্ত সত্ত্বার আখ্যা দিল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের যা যা অধিকার রয়েছে, তার সবই এই দুটি নদীতে বর্তাবে।

আদালত কেন্দ্রকে একটি গঙ্গা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বোর্ড গঠন করতে বলেছে যাতে দেশের পবিত্রতম এই নদীকে পরিষ্কার রাখা যায়, করা যায় ঠিকমত রক্ষণাবেক্ষণ।

গঙ্গার চারপাশে পাথর খনন নিয়ে একটি মামলার ভিত্তিতে এই রায় দিয়েছে আদালত। বলা হয়েছে, যেভাবে গঙ্গার চারপাশে পাথর খনন চলছে, কলকারখানাগুলো নদীর মধ্যে তাদের আবর্জনা ও রাসায়নিক ফেলছে, তা পরিবেশের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে গঙ্গার পাড় দুর্বল হচ্ছে তো বটেই, বন্যার আশঙ্কা বেড়ে যাওয়ায় আশপাশের বাসিন্দারাও বিপদের মধ্যে রয়েছেন।

গত শুক্রবার উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট কেন্দ্র ও রাজ্য-উভয়কেই গঙ্গা দূষণ ইস্যুতে তিরস্কার করে। আদালত বলে, হারিয়ে যাওয়া সরস্বতী নদীর সন্ধানে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তার একাংশও গঙ্গা সংরক্ষণে করা হচ্ছে না।

এরপর গতকাল আদালত গঙ্গা ও যমুনা নদীকে জীবন্ত আখ্যা দিয়ে একজন আইনসম্মত নাগরিকের যা যা মৌলিক অধিকার, তার সবই আরোপ করেছে এই দুই নদীতে।

তবে গঙ্গা, যমুনাই জীবন্ত সত্ত্বার মর্যাদা পাওয়া প্রথম নদী নয়। দিনকয়েক আগে নিউজিল্যান্ডে এমনই এক রায় পাশ হয়েছে, যাতে ১৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ হোয়ানগানুই নদীকে জীবন্ত আখ্যা দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীতে এমন রায় এটিই প্রথম।

ইকুয়েডর বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা প্রকৃতির অধিকারকে সাংবিধানিকভাবে স্বীকার করে নিয়েছে। ২০০৭-০৮-এ তৈরি হওয়া তাদের নতুন সংবিধানে একটি অধ্যায় রাখা হয়েছে, যার নাম প্রকৃতির অধিকার।