পটনা: মহাজোটবন্ধন থেকে আরজেডিকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়ায় দলীয় সাংসদ মহম্মদ তসলিমউদ্দিনকে রাষ্ট্রীয় জনতা দল কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠাল। ১০ দিনের মধ্যে তাঁকে জানাতে হবে, বারবার জোটের বিরুদ্ধে মুখ খোলার পরেও কেন তাঁকে সাসপেন্ড করা হবে না।

এর আগে একের পর এক অপরাধের ঘটনার জেরে বিহারে ‘জঙ্গলরাজের প্রত্যাবর্তন’ নিয়ে বারবার মুখ খোলেন আরারিয়া কেন্দ্রের বিতর্কিত সাংসদ তসলিমউদ্দিন। বিহারে সত্যিই জঙ্গলরাজ চলছে স্বীকার করে নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, মহাজোটবন্ধনের কোনও যৌক্তিকতা নেই, আরজেডির এই জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশকুমারের উচিত ছিল রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা কি্তু তাতে তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আন্দোলন শুরু করারও হুমকি দেন তিনি। এতেই থেমে না থেকে তসলিমউদ্দিন আরও চাঁচাছোলা ভাষায় নীতীশকে আক্রমণ করে দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়া তো দূরের কথা, নীতীশের কোনও গ্রামের ‘মুখিয়া’ হওয়ারও যোগ্যতা নেই। উন্নয়নের নামে বিহারকে লুঠ করছেন তিনি। এমনকী নীতীশের জোটসঙ্গী হওয়া সত্ত্বেও শুক্রবার তিনি প্রকাশ্যে তাঁর পদত্যাগও দাবি করেন। স্বাভাবিকভাবেই মহাজোটবন্ধন বিহারে ক্ষমতায় আসার কয়েক মাসের মধ্যেই এমন টানাপোড়েন শুরু হওয়ায় তলানিতে গিয়ে ঠেকে দুই জোট শরিক জেডিইউ ও আরজেডির সম্পর্ক। এরপরেই পরিস্থিতি সামাল দিতে এই বাহুবলী সাংসদকে শো কজ করে আরজেডি।

অবশ্য তসলিমউদ্দিন একা নন, আরজেডির সহ সভাপতি রঘুনাথপ্রসাদ সিংহ ও দলীয় লেতা প্রভুনাথ সিংহও প্রকাশ্যে নীতীশের সমালোচনা করেছেন। জবাবে জেডিইউ দাবি করেছে, এঁদের প্রত্যেককে আরজেডির সমঝে দিতে হবে।