নয়াদিল্লি: সিনিয়র সিটিজেনদের ভাড়ায় ছাড় পাওয়ার সুবিধা না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাড়া মিলেছে। ১৯ লক্ষেরও বেশি যাত্রী ভাড়ায় ছাড়ের সুবিধা নেননি। ফলে ভর্তুকির প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা বেঁচে গিয়েছে। এতে উৎসাহিত হয়ে এবার সব যাত্রীদেরই ভাড়ায় ছাড়ের সুবিধা না নেওয়ার প্রকল্প চালু করছে ভারতীয় রেল। এর ফলে ভর্তুকির পরিমাণ আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রেলমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘২০১৬ সালে আমরা যাত্রীদের ভাড়ায় ছাড়ের সুবিধা ১০০ শতাংশ সুবিধা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাড়া পাইনি। এরপর ২০১৭ সালে ৫০ শতাংশ সুবিধা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তখন অনেকেই এগিয়ে আসেন। ২০১৭ সালের ২২ জুলাই থেকে এ বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে সিনিয়র সিটিজেনদের ভাড়ায় ছাড়ের সুবিধা ছেড়ে দেওয়ার ফলে রেলের ৩২ হাজার কোটি টাকারও বেশি বেঁচে গিয়েছে। এই প্রকল্পে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় ভর্তুকি ছেড়ে দিচ্ছেন সিনিয়র সিটিজেনরা। এবার আমরা অন্যদেরও ভাড়ায় ছাড়ের সুবিধা না নেওয়ার জন্য উৎসাহ দিতে চাইছি।’

রেলমন্ত্রক সূত্রে আরও খবর, ভারতীয় রেল ৫৩টি ক্ষেত্রে ভাড়ায় ছাড় দেয়। সিনিয়র সিটিজেন ছাড়াও শারীরিক প্রতিবন্ধী, ক্যান্সার, থ্যালাসেমিয়া, হৃদযন্ত্র ও কিডনির রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, শহিদ জওয়ানদের স্ত্রী, ছাত্র-ছাত্রীদের ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হয়। এই ভর্তুকি দিতে প্রতি বছর রেলের ৩৩ হাজার টাকা ক্ষতি হয়। সেই কারণেই সব যাত্রীকে ভর্তুকি ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে রেল। যে সিনিয়র সিটিজেনরা ইতিমধ্যেই ভর্তুকি ছেড়ে দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ জানাবেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ভর্তুকির টাকা বেঁচে যাওয়া এবং ভর্তুকি ছেড়ে দেওয়া সিনিয়র সিটিজেনদের নাম জানানো হবে।