জয়পুর: রাজস্থানের সীমান্তবর্তী বিকানির জেলায় জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার ব্যাপারে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) জোনাল দপ্তরে হাজিরা দিলেন রবার্ট বঢরা, তাঁর মা মৌরিন। ইডি অফিসে তাঁদের সঙ্গী হন রবার্টের স্ত্রী তথা এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা বঢরা। এর আগে তিনবার সনিয়া গাঁধীর মেয়ে জামাই রবার্ট ইডি-র দিল্লি কার্য্যালয়ে হাজির হন, জয়পুরে এই প্রথম। দিল্লিতে তিনবারই তিনি ইডি-র তলব পেয়ে হাজিরা দেন বিদেশে সম্পত্তি অর্জনে জড়িত থাকার অভিযোগ সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের তদন্তের ব্যাপারে।
রবার্ট, তাঁর মা রাজস্থান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে আবেদন করেছিলেন, ইডি-কে তাঁদের বিরুদ্ধে একতরফা দমনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হোক। তাঁদের ইডি-র সঙ্গে সহযোগিতা করতে বলে হাইকোর্ট। সেইমতো দুজনে ইডি দপ্তরে যান এদিন। বিকানের জমি মামলায় তিনবার রবার্টকে ইডি সমন পাঠালেও তিনি সেখানে হাজিরা না দিয়ে হাইকোর্টে যান।
২০১৫-র এই জমি ডিলের ব্যাপারে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে ইডি। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে বলে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ওই জমি বরাদ্দ করায় জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন বিকানেরের তহশিলদার। এ ব্যাপারে রাজস্থান পুলিশের দায়ের করা একগুচ্ছ এফআইআর, চার্জশিটও ধর্তব্যের মধ্যে নেয় ইডি।
ওই জমি কিনেছিল মেসার্স স্কাইলাইট হসপিটালিটি প্রাইভেট লিমিটেড নামে যে ফার্ম, তার সঙ্গে রবার্টের যোগসাজশ আছে বলে অভিযোগ। সম্ভবত সে ব্যাপারে তাঁকে জেরা করতে চায় ইডি। পাশাপাশি রবার্টকে, তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা লোকজনের মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করতে চায় তারা। তাদের দেওয়া বিবৃতির সঙ্গে রবার্টের বয়ান মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করছে ইডি।
গতকাল লখনউয়ে রোড শো শেষ করেই চার্টার্ড বিমানে রাতে জয়পুর পৌঁছন প্রিয়ঙ্কা। গত বুধবার দিল্লিতে ইডি দপ্তরে রবার্টের হাজিরার সময়ও রবার্টকে গাড়িতে সেখানে পৌঁছে দিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। বলেছিলেন, উনি আমার স্বামী, পরিবার। পরিবারের পাশে আছি আমি।