রোহতক: অভিযুক্তদের ফাঁসি চাইছেন রোহতক গণধর্ষণের শিকার হওয়া দলিত তরুণীর মা। জানালেন, ঘটনার জেরে তাঁদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।


গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন তাঁর মেয়ে। ৩ বছর পর একই অভিযুক্তরা তাঁর মেয়েকে ফের গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কন্যা। মা হয়ে তিনি ময়ের এই পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না। তিনি ক্ষুব্ধ, ক্ষিপ্ত। একইসঙ্গে তিনি মর্মাহতও। তিনি শুধুই চাইছেন অভিযুক্তদের ফাঁসি।

রোহতকের গণধর্ষণের শিকার হওয়া তরুণীর মা জানান, ২০১৩ সালে তাঁর মেয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল। সেই গ্লানি নিয়ে তাঁরা সকলেই ভিওয়ানি জেলার গুসকানি গ্রাম ছেড়ে রোহতকে বসবাস করতে শুরু করেন। কিন্তু, এখানেও, তাদের পিছু নেয় অভিযুক্তরা।

নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁরা। পুলিশ সেইসময় মাত্র ২ জনকে গ্রেফতার করেছিল। তারাও পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। এরপর অভিযুক্তরা রোহতকে এসে তাঁদের ওপর মামলা তোলার চাপ দিতে থাকে বলে জানান ওই মহিলা। মেয়ে তাতে রাজি না হওয়ায় ফের গণধর্ষণ!

পেশায় দর্জি ওই মহিলা জানান, অনেক কষ্ট করে তিনি সংসার চালান। বলেন, মেয়ের এই অবস্থা। সে হাসপাতালে শয্যাশায়ী। গত দুদিন ধরে মুখে কিছু তোলেনি। সারাক্ষণ অপরাধীদের শাস্তির দাবি করে চলেছে। এদিকে, ছেলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। এসবের মধ্যে তার শিক্ষা লাটে উঠেছে।

ওই মহিলা জানান, তিনি অভিযুক্তদের ফাঁসি চান। বললেন, প্রথমবার গ্রাম ছেড়েছিলাম। এবার আর ছাড়ব না। ওদের ফাঁসি চাই। জানি, সেটাও যথেষ্ট নয়। ওদের এত কঠোর শাস্তি দেওয়া দরকার, যা কখনও ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

এই পরিস্থিতিতে পুলিশের ওপরও আর ভরসা রাখতে পারছেন না নির্যাতিতার মা। বলেন, ২০১৩ সালে পুলিশ মাত্র দুজনকে গ্রেফতার করেছিল। এবার বলছে, ঘটনার সময় ওরা না কি শহরেই ছিল না। তিনি যোগ করেন, ওরা (অভিযুক্তরা) আমাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। এর বিহিত চাই।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ তারিখ রোহতকে গণধর্ষণের শিকার হন বছর একুশের কলেজ পড়ুয়া ওই দলিত তরুণী। তাঁর অভিযোগ, ২০১৩ সালে ভিওয়ানিতে এই অভিযুক্তরাই তাঁর ওপর নির্যাতন চালিয়েছিল। এবারের ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।