পটনা: মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যাচ্ছেন পাশেই একটি অনুষ্ঠানে, তাই নিরাপত্তার কথা ভেবে গতকাল পটনা বিমানবন্দরে থামিয়ে দেওয়া হয় ছত্তিশগড়ের সুকমায় মাওবাদী হামলায় শহিদ ৬ সিআরপিএফ জওয়ানের কনভয়কে। এমনই অভিযোগে শোরগোল। বিমানবন্দর থেকে বাইরে বেরনোর গেটের পাশেই বিহার রোড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ, এজন্য আটকে রাখা হয় নিহত সিআরপিএফ জওয়ানদের দেহ নিয়ে যাওয়া কনভয়। পটনার পুলিশ সুপার মনু মহারাজ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, আমি খবর নিয়ে জেনেছি, বিশেষ এসকর্ট পাইলটদের সঙ্গে করে আনা কনভয় থামানো হয়নি। কিন্তু রাজ্যের বিজেপি নেতারা কয়েকটি টিভি চ্যানেলে দেখানো ছবির প্রসঙ্গ তুলে অভিযোগে অটল থাকেন। যদিও পুলিশ সুপার বলেন, তিনি ওই ফুটেজ দেখেননি।


রাজ্যের শীর্ষ বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মোদীর দাবি, ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সংবেদনশীলতা দেখানো উচিত ছিল। তিনি এও বলেন, উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব মাত্র কয়েক কিমি দূরে থেকেও গতকাল সন্ধ্যায় শহিদ জওয়ানদের দেহ বিমানবন্দরে পৌঁছলে একটিবার শ্রদ্ধা জানাতে যাননি!
তবে নীতীশের পাশে দাঁড়িয়ে শরিক দল আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদ যাদব বলেন, মুখ্যমন্ত্রী অনুভূতিশীল মানুষ। তিনি নিশ্চয়ই ওই সময় শহিদদের কনভয় ওখান দিয়ে যাওয়ার কথা জানতেন না। জেডি (ইউ) নেতা শ্যাম রজক আবার বলেন, নীতীশকুমার কতটা সংবেদনশীল, তা কে না জানে? আসলে সংকীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশে মিথ্যা গল্প ছড়াচ্ছে বিজেপি।
গতকাল রজকই শহিদদের কনভয়ে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পটনা বিমানবন্দরে যান।
নীতীশ কুমার গতকালই সুকমার মাওবাদী আক্রমণে সিআরপিএফ জওয়ানদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিহারের শহিদদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা এককালীন অনুদান ঘোষণা করেন।