নয়াদিল্লি:  গণেশ চতুর্থীর দিন নতুন কিছু শুরু হওয়া সত্যিই ভাল। আজই বাজারে আসতে চলেছে নতুন দুশো টাকার নোট। কিন্তু আমজনতা যদি ভাবেন যে আজই এটিএম-এ গিয়ে কার্ড পাঞ্চ করলে নয়া দুশোর নোট তাঁরা হাতে পাবেন, তাহলে তাঁরা অবশ্যই ভুল ভাবছেন। আজ এই নোট এটিএমে পাওয়া যাবে না।

প্রথম দফার যে নোট আজ আরবিআই বাজারে আনছে, সেটা শুক্রবার আরবিআইয়ের কয়েকটি বাছাই করা শাখা এবং অফিসে পাওয়া যাবে। এদিকে যেহেতু শুক্রবার দেশের বেশ কিছু জায়গায় ব্যাঙ্ক বন্ধ, সেই জন্যে আজ ব্যাঙ্কের কাউন্টারেও নতুন দুশোর নোট পাওয়া যাবে না। সূত্রের খবর, অন্তত এক সপ্তাহ লাগবে নতুন দুশোর নোট এটিএমে পাওয়া যেতে। প্রসঙ্গত, এটিএমে এই সময় লাগার কারণ, প্রতিটি এটিএমের মেশিন উন্নত করতে হবে নয়া দুশোর নোট দেওয়ার জন্যে। দেশে প্রায় দু লক্ষ এটিএম রয়েছে। মেশিন পরিবর্তনে সময় লেগে যাবে।

সূত্রের খবর, প্রতিটি এটিএমে তিন থেকে চারটে ক্যাসেটস থাকে। সেগুলো বিভিন্ন ডিনোমিনেশনের নোট দিতে সক্ষম। এবার দুশোর নোট দেওয়ার জন্যে ক্যাসেটসগুলো উন্নত করতে হবে। যেটা সময় সাপেক্ষ। নোটগুলো হাতে আসলে, তারপর সেভাবেই ক্যাসেটস পরিবর্তন করতে হবে এটিএম মেশিনের। ক্যাসেটস হচ্ছে মূলত, ছোট মাপের রিমুভেবল বক্স। এরমধ্যেই এটিএমের নগদ টাকা থাকে। এইমুহূর্তে এটিএমগুলো থেকে ১০০, ৫০০ এবং দু হাজারের নোট বের হয়। কিন্তু নতুন দুশোর নোটের দৈর্ঘ্য যেহেতু বাজার চলতি অন্য নোটগুলোর চেয়ে লম্বা, সেইজন্যে ক্যাসেটস-এর পরিবর্তন প্রয়োজন। এছাড়া এটিএমের প্রতিটি ক্যাসেটস আড়াই হাজারের মতো নোট ধরতে সক্ষম। এইমুহূর্তে যদি দুশোর নোটের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকে, তাহলে এটিএম প্রস্তুতকারী সংস্থা এখনই দুশোর নোট সেখানে ঢোকাতে রাজি হবে না। কারণ, তাঁরা চান না কম সংখ্যার নোট নিয়ে এটিএমের ক্যাসেটস চালাতে।যদিও প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে দুশোর নোটের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকবে। সেইজন্যে পুরো প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক করতে এবং এটিএমে পাওয়া যেতে সাতদিনই সময় লাগবে।

নতুন এই দুশোর নোটে সাঁচি স্তুপার ছবি আছে। রঙ গাঢ় হলুদ। নোটে আরবিআইয়ের গভর্নর উর্জিত পটেলের সই আছে। পিছনে কোন সালে ছাপা, সেটার উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া স্বচ্ছ ভারত অভিযানের লোগো সহ স্লোগান আছে। নয়া এই নোটের মাপ হল ৬৬ এমএম*১৪৬এমএম।