মুম্বই: বৈঠকে সেনা ত্রাণ তহবিলে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়ার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়নি, চাপের মুখে সাফাই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়ণবীশের।


‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ নিয়ে জট কাটাতে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেন ছবির পরিচালক কর্ণ জোহর এবং প্রডিউসার গিল্ডের প্রধাণ মহেশ ভট্ট। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফঢ়ণবীশও। তাঁরা আশ্বস্ত করেন ছবি মুক্তি নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। পাক শিল্পীদের নিয়ে কাজ করায় ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর প্রযোজকদের সেনা ত্রাণ তহবিলে ৫ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা। কিন্তু সমালোচনার মুখে ফঢ়ণবীশ জানিয়েছেন ওই বৈঠকে এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ফঢ়ণবীশ জানান, ঠাকরে যে তিনটি দাবি তুলেছিলেন, তারমধ্যে দুটি নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি ছিল না। কিন্তু যখন পাঁচ কোটি টাকা দেওয়ার দাবি ওঠে তিনি বলেন, প্রডিউসার গিল্ডকেও এব্যাপারে সম্মত হতে হবে। তিনি বলেন, শহিদ জওয়ানদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় গিল্ড। কিন্তু এই দান বাধ্যতামূলক হোক, তা আমি চাইনি। আমি চেয়েছিলাম, কেউ যদি সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন, তাহলে সাধ্যমতো টাকা দিয়ে সাহায্য করতে পারেন। কিন্তু ৫ কোটি টাকার পরিমান ঠিক করেছিল এমএনএস, যার সঙ্গে আমি একমত ছিলাম না।

প্রসঙ্গত, উরি হামলার পর দেশে পাক শিল্পীদের বয়কটের ডাক দেয় মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা। পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান অভিনীত কর্ণ জোহরের ছবি ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ মুক্তি পেতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেয় তারা। মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে ভাঙচুর করা হবে বলে হুমকি দেয়। সেই সঙ্গে পাক অভিনেতাদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতেও বলে। সিঙ্গেল থিয়েটারগুলি জানিয়ে দেয়, তাঁদের হলে দেখানো হবে না ‘অ্যায় দিল…’। এই সমস্যার জট কাটাতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়ণবীশ এবং এমএনএস-এর প্রধান রাজ ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেন ছবির প্রযোজক কর্ণ জোহর, প্রডিউসার গিল্ডের প্রেসিডেন্ট মুকেশ ভট্ট। প্রযোজকরা কথা দেন, ভবিষ্যতে পাকিস্তানি শিল্পীদের নিয়ে আর কাজ করবেন না। যে সমস্ত প্রযোজক সই করে পাকিস্তানি শিল্পীদের ছবিতে নিয়েছেন, তঁদের সেনা ত্রাণ তহবিলে ৫ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় এমএনএস।
এর জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ফড়ণবীশকে। শুনতে হয়, ‘সালিশী’ রফা করেছেন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর এই সাফাই। তিনি বলেন, এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।