নয়াদিল্লি: রাজ্যের বিরোধী দলের এক সাংসদকে প্রকাশ্যে চড় মারার জের! দল থেকে বহিষ্কৃত হলেন এআইএডিএমকে সাংসদ শশীকলা পুষ্পা। তাঁর আগে সংসদের ভিতর তাঁর পাল্টা দাবি, তাঁকে চড় মেরেছেন এক নেতা।


ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার। অভিযোগ, দিল্লি বিমানবন্দরে ডিএমকে সাংসদ তৃচি শিবার সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন শশীকলা। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আচমকা শিবাকে চড় মারেন শশীকলা।

ব্যস! এরপরই ২ সাংসদের মধ্যে প্রকাশ্যে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি! জল এতদূর গড়ায় যে, নিরাপত্তার কারণে দুজনকেই ফ্লাইট থেকে বের করে দিতে বাধ্য হন বিমানকর্মীরা। যদিও, আত্মপক্ষ সমর্থনে শশীকলা জানিয়েছিলেন, জয়ললিতার নামে কুকথা বলার জন্যই তিনি শিবাকে চড় মারেন।

দলীয় সূত্রে খবর, এই ঘটনায় একদা ঘনিষ্ঠ সহযোগীর ওপর বেজায় চটে যান তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা এডিএমকে সুপ্রিমো জয়ললিতা। তখনই, শশীকলাকে দল থেকে বহিষ্কার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।

এদিন চেন্নাইয়ে দলের সাংসদকে বহিষ্কার করার ঘোষণা করেন জয়ললিতা। জানিয়ে দেন, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য শশীকলাকে বহিষ্কার করা হল। এদিন প্রাথমিক সদস্যপদ সহ দলের সমস্ত পদ থেকেই বহিষ্কার করা হয় তুতুকুড়ির রাজ্যসভা সাংসদকে।

এদিকে, চেন্নাইতে তাঁকে বহিষ্কার করার ঘোষণা যখন করা হচ্ছে, তখনই সংসদে শশীকলা পাল্টা প্রহৃত হওয়ার দাবি করেন। এদিন রাজ্যসভার কাজ শুরু হতেই ওয়েলে নেমে শশীকলা অভিযোগ করেন, তাঁকে চড় মেরেছেন তাঁর দলেরই এক নেত্রী।

তবে, সেই নেত্রীর নাম বলার আগেই তাঁকে থামিয়ে দেন চেয়ারম্যান পি জে কুরিয়্যেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সংসদে দাঁড়িয়ে নিজের আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারবেন না, তাঁর নাম তোলাটা উচিত নয়। অবশ্য, সংসদের বাইরে এক সংবাদমাধ্যমের সামনে জয়ললিতার দিকেই ইঙ্গিত করেন শশীকলা।

শশীকলা আরও দাবি করেন, তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই তিনি নিজের রাজ্যে ফিরে যেতে চান না। অভিযোগ জানাতে গিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন শশীকলা। তাঁর দাবি, তাঁকে অন্যায়ভাবে সাংবিধানিক পদ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। শশীকলা এ-ও জানান, তিনি দেশের সেবা করতে চান।

যদিও, শশীকলার বক্তব্যের পরই সংসদে তাঁর দলের তরফে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তাঁরা দাবি তোলেন, শশীকলার বক্তব্য যেন সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হয়।