নয়াদিল্লি: কারও সঙ্গে শত্রুতা থাকলে তাকে বাড়ির অনুষ্ঠানে নেমন্তন্ন না করা বিচিত্র কিছু নয়। কিন্তু নেমন্তন্ন করেও তা ফিরিয়ে নেওয়ার নজির বিশেষ নেই। জম্মু কাশ্মীরের পামপোরে সিআরপি জওয়ানদের কনভয়ে হামলার জেরে নজিরবিহীন এই পদক্ষেপই করল আরএসএস। সঙ্ঘের শাখা মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ দোসরা জুলাই ইফতারের আয়োজন করেছে। তাতে যোগ দিতে ৪০টি মুসলিম দেশের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ করেছে তারা। নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ভারতে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত আবদুল বাসিতও। কিন্তু শনিবারের পামপোর হামলায় ৮ সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর পর কঠোর হয়েছে আরএসএস। ওদিনই বশিরকে ফোন করে তাঁর নিমন্ত্রণ প্রত্যাহার করেছে তারা।


শনিবার পামপোরে সিআরপি জওয়ানদের কনভয়ে লস্কর ই তৈবা হানায় ৮ জওয়ানের মৃত্যু হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন জওয়ান। সেদিনই আবার দিল্লির পাক হাই কমিশনে জাঁকালো ইফতার পার্টি চলছিল। সেখানে পাক হাই কমিশনার আবদুল বাসিতকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে জম্মু কাশ্মীর বিতর্কিত ইস্যু বলে তিনি স্রেফ উড়িয়ে দেন। উল্টে সাংবাদিকদের উপদেশ দেন, ইফতারের খানাপিনায় মন দিতে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর আচরণ সাধারণ মানুষ ভাল চোখে দেখেননি। তারপরেই আরএসএসের এই আমন্ত্রণ প্রত্যাহার।

মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ এর আগেও ইফতারের আয়োজন করেছে। কিন্তু এবার তা হচ্ছে রীতিমত বড় করে। সদস্যদের দেশ জুড়ে ছোট ছোট ইফতার পার্টি করতে বলা হয়েছে, তাতে নিমন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে সব সম্প্রদায়ের মানুষকে। দেশকে দাঙ্গামুক্ত করার পাশাপাশি গোটা বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদ ও হিংসার ছায়ামুক্ত করার জন্য সংখ্যালঘু সমাজের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছে তারা।