জম্মু: সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীদের হাতে খুন জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তোয়ারের আরএসএস নেতা ও তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী (পিএসও)। হামলার টার্গেট ছিলেন চন্দ্রকান্ত নামে ওই সঙ্ঘ নেতাই। পুলিশ জানিয়েছে, আজ তিনি চেক আপের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন দেহরক্ষীও। সেখানে হানা দেয় জঙ্গিরা। হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে চন্দ্রকান্তের পিএসও-র অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়, চন্দ্রকান্তকে গুলি করার চেষ্টা করে। কিন্তু ধস্তধস্তির মধ্যে গুলি লাগে পিএসও-র গায়ে। ঘটনাস্থলে তিনি প্রাণ হারান। আহত হন চন্দ্রকান্ত। পরে হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। হামলার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান পদস্থ পুলিশকর্তারা। হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়।
বেলা সাড়ে ১২টার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কার্ফু জারি হয়। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাপ্রবণ কিস্তোয়ার, বাদেরওয়াতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা তলব করে প্রশাসন। দুই জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। জম্মু অঞ্চলের আইজি মণীশ সিনহা জানান, আগাম সতর্কতা হিসাবেই কার্ফু জারি হয়েছে।
কিস্তোয়ারের এসএসপি শক্তি পাঠক জানিয়েছেন, কিস্তোয়ারের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়া শর্মা ও তাঁর পিএসও রাজিন্দরের গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল এক জঙ্গি। সেখানে ঢুকে সে গুলি চালায়। রাজিন্দর নিহত হন। আহত শর্মাকে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে জম্মুতে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানকার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
হামলার পর ঘাতক জঙ্গি রাজিন্দরের অস্ত্রটিও নিয়ে চলে যায় বলে জানান আইজি।
আরএসএস নেতা, দেহরক্ষীর নিধনের জেরে কিস্তোয়ারের রাস্তায় নেমে সরকার, পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা।


প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ নভেম্বর বিজেপি রাজ্য সম্পাদক অনিল পারিহার ও তাঁর ভাই অজিত কিস্তোয়ারে নিজেদের দোকান থেকে ফেরার সময় সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন।