নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের জল্পনার মধ্যেই পদত্যাগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব প্রতাপ রুডি। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চিন রওনা হওয়ার আগে উমা ভারতী সহ আরও কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।


বৃহস্পতিবার সকালে নিজের বাসভবনে কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। এরপর তিনি মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। এরপরেই রুডির ইস্তফায় জল্পনা বেড়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ আনতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। জেডিইউ ও এআইএডিএমকে থেকে কয়েকজনকে মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে। তার আগে আরও কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করতে পারেন।

বিহারের সরন লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ রুডি মন্ত্রিসভা থেকে সরে যাওয়ার পর দলীয় সংগঠনের দায়িত্ব পেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারই বিজেপি সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন কলরাজ মিশ্র। তিনিও পদত্যাগ করতে পারেন। তাঁর বয়স ৭৫ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি বিজেপি নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৭৫-এর বেশি বয়সি কাউকে মন্ত্রিসভায় রাখা হবে না। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই সরে যেতে পারেন কলরাজ।

অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যর বদলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডেকে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি করা হয়েছে। ফলে মহেন্দ্রনাথও মন্ত্রিসভা থেকে সরে গেলেন। উমা স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার কারণ দেখিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

মন্ত্রিসভার রদবদলে এআইএডিএমকে থেকে থাম্বি দুরাই ও কে বেনুগোপাল মন্ত্রী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। জেডিইউ থেকেও দু জনকে মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে। অরুণ জেটলি, হর্ষবর্ধনের হাতে একাধিক মন্ত্রক। ফলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা ফাঁকা আছে। সেই কারণেই ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার আগেই রদবদল করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।