এদিকে প্রদ্যুমানের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পরও স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়ে যাচ্ছেন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে স্কুলের কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা উচিত। এরপরই স্কুলের কার্যনির্বাহী অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করা হয়।
এদিকে গুরগাঁও আদালত অভিযুক্তকে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে।
শিশু পড়ুয়ার নির্মম হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেছেন উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান। মন্ত্রীর মন্তব্য, এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর যেন কখনও না হয়। এই ঘটনার পিছনে আসল অপরাধী কে, স্কুলের প্রিন্সিপ্যালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা উচিত কিনা, এসম্পর্কে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। পাসওয়ানের দাবি, তিনি চান ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসল অপরাধীকে খুঁজে বের করতে হবে।
অভিযুক্ত অশোক কুমারকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রদ্যুমানের মায়ের দাবি, তাঁর ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়ার সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। কেন স্কুলে বাচ্চাদের আলাদা টয়লেট ছিল না, সেই নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এত দামি স্কুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এতটা ফাঁক কেন রয়েছে, সেটাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ। কথা বলা হবে স্কুলের স্টাফদের সঙ্গেও।
এদিকে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে ঘটনার তদন্তের জন্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট সিট গঠন করা হয়েছে। সিবিএসই বোর্ড তাদের অধীনে থাকা সমস্ত স্কুলের থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। বিচার অবশ্যই পাবেন শিশুটির বাবা-মা, জানিয়েছেন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
প্রয়োজনে স্কুলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত কাউকে ছাড়া হবে না, মন্তব্য বিজেপি বিধায়ক তেজপাল তানওয়ারের।
হরিয়ানা পুলিশরে তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়েছে। শুনে নেব শেখানো কী বলা হয়েছে