নয়াদিল্লি: গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যায় অভিযুক্ত একাদশ শ্রেণির ছাত্রটি বয়ান বদলাল। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে সে দাবি করেছে, চাপের মুখে খুনের কথা মানতে বাধ্য করা হয়েছে তাকে।

শনিবার ওই ছাত্র সিবিআইয়ের সঙ্গে রায়ান স্কুলে গিয়ে হত্যার ঘটনার পুনরাভিনয় করে। সেদিনই গুরুগ্রামের এক জুভেনাইল আদালত তাকে ২২ তারিখ পর্যন্ত একটি হোমে পাঠায়।

তার বাবা, এক নিরপেক্ষ সাক্ষী ও সিবিআইয়ের কাছে খুনের কথা স্বীকার করলেও জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে গিয়ে অবশ্য বয়ান বদলে ফেলেছে ওই ছাত্র। সে দাবি করেছে, নিজে থেকে নয়, জোর করে চাপ দিয়ে তাকে খুনের দায় নিজের ঘাড়ে নিতে বাধ্য করেছে সিবিআই।

সিবিআই এর মধ্যে এই খুনের তদন্তে গঠিত গুরুগ্রামের এসআইটি সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য শমন পাঠিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট ও আসল অপরাধীকে আড়াল করার যে অভিযোগ উঠেছে সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হবে তাঁদের।

গুরুগ্রাম পুলিশ দাবি করেছিল, স্কুলের এক বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমার এই খুনের পিছনে। কিন্তু তদন্তে নেমে সিবিআই জানিয়ে দেয়, অশোক কুমার। একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য প্রদ্যুম্নকে খুন করেছে বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছয় তারা।