নয়াদিল্লি: গুরুগ্রামের রায়ান পাবলিক স্কুলের ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুর খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পেল পুলিশ। সূত্রের খবর, রিপোর্টে প্রদ্যুম্নর উপর দু’বার ছুরি নিয়ে হামলা চালানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমবার আঘাত গুরুতর না হলে দ্বিতীয়বারের আঘাতে গলায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়। ছুরির আঘাতে তার গলার শ্বাসনালী কেটে গিয়েছিল বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। প্রদ্যুম্ন চিৎকার করতে গেলে ভয় পেয়ে অভিযুক্ত কন্ডাক্টর তার উপর হামলা চালায় বলে অনুমান পুলিশের। ময়নাতদন্তকারী চিকিত্সক দীপক মাথুর বলেছেন, পুলিশ যে ছুরি উদ্ধার করেছে তা দিয়ে এভাবে খুন করা সম্ভব।
তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সাত বছরের প্রদ্যুম্নকে গলার নলি কেটে খুন করা হয়। স্কুল চত্বরে এক পড়ুয়াকে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনায় স্তম্ভিত সারাদেশ। হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বাস কন্ডাক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।