নয়াদিল্লি: গ্রেফতার করা হয়েছে প্রদ্যুম্ন খুনের অভিযুক্তকে। সাসপেন্ড হয়েছেন প্রিন্সিপাল নীরজ বাত্রা। কিন্তু গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অভিভাবকদের ক্ষোভ এতটুকু কমেনি। আজ সকালে স্কুলের পাশেই একটি মদের দোকান পুড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

মৃত প্রদ্যুম্নের মা জ্যোতি ঠাকুরের দাবি, রায়ান স্কুল বন্ধ করে দিতে হবে, সারাজীবন জেলে রাখতে হবে ডিরেক্টর রায়ান পিন্টোকে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে শিক্ষা দিতে হবে যাতে আর কোনও প্রতিষ্ঠান একটি শিশুর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার না সাহস পায়। অভিভাবকরা স্কুলটি পুড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন। জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে স্কুল খুলতে দেওয়া হবে না।

তাঁদের বক্তব্য, যে বাস কন্ডাক্টর অপরাধ স্বীকার করেছে বলে খবর, আসলে সে দোষী নয়। কাউকে বাঁচাতে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। প্রদ্যুম্ন হত্যার সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন তাঁরা। এই দাবিতে অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা ৩ ঘণ্টার বেশি রাস্তা অবরোধ করে রাখেন।

৭ বছরের প্রদ্যুম্নের শেষকৃত্যে স্কুলের কোনও প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। প্রাথমিক ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তার ওপর কোনও যৌন হেনস্থার উল্লেখ নেই, গলায় দুটি আঘাতের কথা বলা হয়েছে।

অভিযুক্ত বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তার অপরাধমূলক কোনও রেকর্ড আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ।