রাঁচি:  ঝাড়খণ্ডে স্কুলে সাত বছরের পড়ুয়াকে যৌন হেনস্থার কথা কবুল করেও প্রিন্সিপালের দাবি, সে এমন কোনও বড় ভুল করেনি।কলকাতা যখন উত্তাল শহরের দুটি নামী স্কুলে শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনকাণ্ডে, তখনই সামনে এল ঝাড়খণ্ডের এক স্কুলের প্রিন্সিপাল কীভাবে নিজের যৌন লালসা মিটিয়ে নিয়েছে তারই স্কুলের সাত বছরের এক পড়ুয়ার ওপর দিয়ে। স্কুলের শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে কিন্ডারগার্টেনের পড়ুয়া ওই শিশুকে জামা কাপড় খুলতে বলে প্রিন্সিপাল। তারপর নানা ধরনের যৌন কার্যকলাপ চলে। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে কাঁদতে শুরু করে ওই খুদে। তখন তার হাতে টাকা দিয়ে, কাউকে ঘটনাটা না বলার নির্দেশ দেয় স্কুলের প্রিন্সিপাল।

শনিবার ৬৭ বছরের ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আপাতত অভিযুক্তকে পনেরো দিনের জন্যে জেলে পাঠানো হয়েছে। পরে পুলিশি জেরার সামেন নিজের দোষ কবুল করেও, ওই ব্যক্তি বলে, সে এমন কোনও বড় ভুল করেনি। তাদের মধ্যে কোনও যৌন সম্পর্ক হয়নি। নিজের নোঙরা কাজের সাফাই হিসেবে অভিযুক্ত প্রিন্সিপালের দাবি, সে কিছুই করতে পারেনি। কারণ, তার বয়স হয়েছে। প্রচণ্ড কাজের চাপ, হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভোগে সে। ঘুমের সমস্যাও রয়েছে। কিছুটা চাপমুক্তির জন্যে তাই সে যেটা করে ফেলেছে, পুরোটাই দুর্ঘটনাবশত ঘটেছে।

অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল জেভিয়ারের বিরুদ্ধে পক্সো আইনে মামলা দায়ের করেছে।