সচিনের মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সচিন বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর ল্যান্ডোরে নারাংয়ের কিছু নির্মাণকাজ নিয়ে বকেয়া সমস্যা সংক্রান্ত একটি লিখিত আর্জি প্রতিরক্ষামন্ত্রকে জমা দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সচিন সবসময়ই মনে করেন যে, আইনকেই মান্যতা দিতে হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলপক্ষকে তাদের মতামত জানানোর সুযোগ দেওয়া দরকার। যদিও বিবৃতিতে সচিন সরকারের কোন ব্যক্তির সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছিলেন, তার উল্লেখ করা হয়নি।
সচিনের মুখপাত্র অবশ্য দাবি করেছেন, নারাংয়ের সঙ্গে সচিনের কোনও ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। তাঁর কোনও আর্থিক স্বার্থও জড়িত নেই। ল্যান্ডোরে দাহিলা ব্যাঙ্কের ওই সম্পত্তিতে নারাং নির্মাণ সংক্রান্ত নিয়ম ভেঙেছেন বলে অভিযোগ।
নারাংও নিয়মবিরুদ্ধ কোনও কাজের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। একইসঙ্গে ওই সম্পত্তিতে সচিন তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তাও খারিজ করে দিয়েছেন নারাং। তাঁর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, দাহিলা ব্যাঙ্কের মালিক নারাং এবং সেটি তাঁর ব্যক্তিগত বাসভবন। সচিন তাঁর বন্ধু। কিন্তু সচিনের সঙ্গে তাঁর কোনও ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই বা ওই সম্পত্তিতে সচিনের কোনও মালিকানাও নেই।
নারাংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইন মেনেই দাহিলা ব্যাঙ্কে নির্মাণকাজ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ক্যান্টনমেন্ট কর্তৃপক্ষ অনুমোদনও দিয়েছে। আইন মেনে ডিআরডিও-র প্রতিষ্ঠানের থেকে ৫০ মিটার দূরেই ওই নির্মাণের কাজ হয়েছে।
নারাংয়ের অভিযোগ, ক্যান্টনমেন্ট কর্তৃপক্ষ তাঁকে হেনস্থা করছে। আইনসম্মতভাবে দেওয়া অনুমতি প্রত্যাহার করতে চাইছে। পরিস্থিতির চাপে পড়ে তাঁকে আইনি রক্ষাকবচ খুঁজতে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ল্যান্ডোরে বাণিজ্যিক কার্যকলাপ চালানোর যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মিথ্যা বলে নারাংয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।