নয়াদিল্লি: ফের বিতর্কিত মন্তব্য সাক্ষী মহারাজের। নির্বাচন কমিশন দিনকয়েক আগে উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করার পর মডেল আচরণ বিধিও চালু হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও ‘বেলাগাম’ সাক্ষী। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের মিরাটে একটি মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উন্নাওয়ের এই বিজেপি সাংসদকে বলতে শোনা গিয়েছে, দেশে জন বিস্ফোরণের জন্য দায়ী হিন্দুরা নয়। যারা চারটে বউ, ৪০টা বাচ্চা চায়, জনসংখ্যা বাড়ছে তাদেরই জন্য। একইসঙ্গে তিনি বলেন, মায়েরা সন্তান উত্পাদনের যন্ত্র নন। মা, তিনি হতে পারেন হিন্দু অথবা মুসলমান, কিন্তু তাঁকে মর্যাদা দিতে হবে।
সমালোচকদের দাবি, সরাসরি নাম না করলেও মুসলিমদের সম্পর্কেই ওই মন্তব্য করেছেন সাক্ষী।


সাত দফায় উত্তরপ্রদেশে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।


তিন তালাক প্রথার অবসানে যত দ্রুত সম্ভব অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর দাবি জানান সাক্ষী। সংবাদ সংস্থাকে পাল্টা কংগ্রেস নেতা কে সি মিত্তলের প্রতিক্রিয়া, সাক্ষীর এ ধরনের ধর্ম, জাতপাতগন্ধী মন্তব্য অত্যন্ত আপত্তিকর।  কংগ্রেস সাক্ষীর বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানাবে বলে জানান মিত্তল। যদিও বিজেপি সাক্ষীর মন্তব্যে সায় দেয়নি। দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা মুখতার আব্বাস নকভি জানিয়ে দিয়েছেন, সাক্ষীর মন্তব্যকে বিজেপির অবস্থান বলে দেখা ঠিক হবে না। আর সাক্ষীর সাফাই, কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে টার্গেট করে ওকথা বলিনি। আমার মন্তব্যের ভুল উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের  সামনে দাঁড়াতে প্রস্তুত।


প্রসঙ্গত, সাক্ষীকে এর আগেও একাধিকবার সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়া মন্তব্যের অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। দেশে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়াতে ২০১৫-র জানুয়ারিতে সব হিন্দু মহিলাকে অন্তত চারটি সন্তানের জন্ম দেওয়ার ডাক দেন তিনি।