তবে রাজস্থানের বিশনই সম্প্রদায়ের বক্তব্য, সলমন রেহাই পেলেন, এটা তারা মানতে নারাজ। সুপারস্টারকে অব্যাহতি দিয়ে আজকের দেওয়া যোধপুর কোর্টের রায়কে তাঁরা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন ওই সম্প্রদায়ের সভাপতি শিবরাজ বিশনই।
১৮ বছরের পুরানো বিরল প্রজাতির হরিন হত্যা সংক্রান্ত অবৈধ অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় আজ রায় ষোষণা করে যোধপুর আদালত। রায়দানের সময় আদালতে হাজির ছিলেন বলিউড অভিনেতা সলমন খান। আদালতের নির্দেশ ঘোষণার আগের দিনই যোধপুর পৌঁছে যান সলমন।
১৯৯৮-তে সলমনের বিরুদ্ধে যোধপুরের কাছে কাঙ্কানিতে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ, শিকারের সময় ব্যবহৃত একটি পিস্তল ও একটি রাইফেলের লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল এবং তা পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। ১৯৯৮-এর ১৫ অক্টোবর অস্ত্র আইনের দুটি ধারায় সলমনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। অস্ত্র আইনের ৩/২৫ ধারা অনুযায়ী বৈধ লাইসেন্স ছাড়া হাতিয়ার রাখার মামলা দায়ের হয়। এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ডের সংস্থান রয়েছে। অন্যদিকে, ৩/২৭ ধারা হল অবৈধভাবে হাতিয়ার রাখা ও তার অপব্যবহার। এই ধারায় দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের সংস্থান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই চিঙ্কারা হত্যা মামলায় রাজস্থান হাইকোর্ট সলমনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। এই রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে রাজস্থান সরকার।